নববর্ষের আগেই সুখবর, বাংলায় বিপুল বিনিয়োগ বন্দর, কৃষি শিল্পে
এছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রী জানান, পানাগড় শিল্প পার্কে নতুন বিনিয়োগ আসছে। ৩৮ একর জমিতে ৪০০ কোটি বিনিয়োগে গড়ে উঠছে ফুড প্যাকেজিং এবং ফিল্ম মেকিং শিল্প।

কোভিড অতিমারীর কারণে যখন দেশে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা, বিশ্ববাজারে আর্থিক ধস, দেশের প্রতি মানুষ আতঙ্কে আছেন কাজ হারানোর ভয়ে, ঠিক তখনই একগুচ্ছ বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের সুখবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু গভীর সমুদ্র বন্দর (Port) না, পাশাপাশি কৃষকদের সুবিধার্থে আসতে চলেছে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি।
আজ নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি জানান, রাজ্য সরকার আগামী সোমবারই তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে সমস্ত কাগজে বিজ্ঞাপন দেবে। এরপর ইচ্ছুক শিল্পপতিরা যোগাযোগ করলেই শুরু হবে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ। এতে প্রাথমিক বিনিয়োগ হবে ৪,২০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে কোনও জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। মোট ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে এই প্রকল্পে। সরাসরি ২৫ হাজার মানুষের কাজ হবে।
এই প্রকল্পে উপকৃত হবেন দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার মানুষ। বর্তমানে দেশের ১৩ শতাংশ লোহা ও ইস্পাত রপ্তানি হয় বাংলা থেকে, এই বন্দর হলে তা আরও বাড়বে। খড়গপুরে বাড়বে ইস্পাত শিল্প ও রপ্তানি। বাড়বে সি ফুড রপ্তানি। মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি উপকৃত হবে সাধারণ মানুষও।
পাশাপাশি, সিঙ্গুরের কৃষকদের সাহায্য করতে সেখানে কৃষিজ শিল্প পার্ক তৈরির ঘোষণা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগম এই পার্ক গড়ে তুলবে। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে, সিঙ্গুর রেল স্টেশন ও ট্রমা কেয়ার সেন্টারের কাছে ১১ একর জমিতে এই পার্ক গড়ে উঠবে। এখানে ক্ষুদ্র শিল্পপতিদের ১০ থেকে ৩০ কাটার প্লট দেওয়া হবে। বড় শিল্পপতিরা চাইলে তাদের এর থেকে বড় আকারের জমি দেওয়া হবে।
এছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রী জানান, পানাগড় শিল্প পার্কে নতুন বিনিয়োগ আসছে। ৩৮ একর জমিতে ৪০০ কোটি বিনিয়োগে গড়ে উঠছে ফুড প্যাকেজিং এবং ফিল্ম মেকিং শিল্প। পাশাপাশি, তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রকে আরও উৎসাহিত করতে তিনি জানিয়ে দেন, এবার থেকে সিলিকন ভ্যালিতে সারা বছর জমি দেবে হিডকো।