প্রতিষেধকের সফল ট্রায়াল মানবশরীরে

ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের প্রথম দলকে আগামী বুধবার ছেড়ে দেওয়া হতে পারে

July 13, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

অবশেষে কি আশার আলো? তেমনই দাবি রাশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয় এক দল স্বেচ্ছাসেবকের উপরে একটি প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল চালিয়েছে। এ কথা জানিয়েছেন ইনস্টিটিউট অফ ট্রান্সন্যাশনাল মেডিসিন অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি-র ডিরেক্টর ভাদিম তারাসোভ। তিনি সংবাদমাধ্যম স্পুটনিককে জানান, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের প্রথম দলকে আগামী বুধবার ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। আর দ্বিতীয় দলটি আগামী ২০ জুলাই বাড়িতে ফিরতে পারবেন।

সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টটিউট অফ মেডিক্যাল প্যারাসাইটোলজি, ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ভেক্টর বোর্ন ডিজিসেস-এর ডিরেক্টর আলেকজান্দ্রা লুকাসেভ জানিয়েছেন, ট্রায়ালের এই পর্যায়ের মূল লক্ষ্য ছিল মানব শরীরে এই ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ তা খতিয়ে দেখা। এই পরীক্ষা সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে। তাঁর দাবি, ‘এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। ক্লিনিক্যাল টেস্টেই তা প্রমাণিত হয়েছে।’ এর আগেও অবশ্য রেমডেসিভির-সহ প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়েছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু পুরোপুরি কোনওটাই সফল বলে এখনও প্রমাণিত নয়। তাই রাশিয়ার দাবি যদি সত্যি হয়, তা হলে করোনার সঙ্গে যুদ্ধে জয় নিশ্চিত বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

এক দিকে যখন ভ্যাকসিন নিয়ে নানা আশা-আকাঙ্ক্ষার দোলাচল, তখনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জনসমক্ষে মাস্ক পরতে দেখা গেল। বলা যেতে পারে তিনি বাধ্য হলেন মাস্ক পরতে।

শনিবার মাস্ক পরে তিনি ওয়াল্টার রিড মেডিক্যাল সেন্টারে আহত সেনাকর্মীদের দেখতে যান। হঠাৎ কী মনে করে মাস্ক — এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি কোনও দিনই মাস্কের বিরো‌ধিতা করিনি। তবে আমার বিশ্বাস, জায়গা ও সময় বুঝেই মাস্ক পরা উচিত। হাসপাতালে গেলে মাস্ক পরেই যাওয়া উচিত।’ আমেরিকায় মোট করোনা আক্রান্ত সংখ্যা ৩২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৮২। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৯০০০ হাজার সংক্রমণের খবর মিলেছে। ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে। এরই মধ্যে অবশ্য ডিজনিল্যান্ড খুলে দেওয়া হচ্ছে। দৈনিক এত মৃত্যুতেও নির্বিকার প্রেসিডেন্ট। এ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মৃত্যু ৫ লাখ ৬৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen