‘ধৈর্য হারিয়েছিলাম’ পরাজয়ের দায় নিজের কাঁধে নিলেন মন্ধানা,সেমিফাইনাল প্রায় অসম্ভব ভারতের

ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, “আমি স্বীকার করছি, আমার ভুল সিদ্ধান্তেই ভেঙে পড়েছিল ব্যাটিং অর্ডার,”
লক্ষ্য ছিল ২৮৯ রানের। ইনিংসের বড় ভরসা ছিলেন মন্ধানা। তিনি শুরুতে অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের সঙ্গে ১২৫ রানের জুটি গড়ে দেন, তারপর দীপ্তি শর্মার সঙ্গে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। কিন্তু ৮৮ রানে পৌঁছে এক অপ্রয়োজনীয় লফটেড শট খেলেই লং-অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আর সেখান থেকেই শুরু হয় ধস। পরের ওভারেই রিচা ঘোষ ও দীপ্তিও পরপর আউট হয়ে যান। ৬ রানের টার্গেট রেট থাকা সত্ত্বেও ভারত আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি।
মন্ধানা বলেন ,“সেই শটটা একদমই দরকার ছিল না। আমি ঠিক করেছিলাম এয়ারিয়াল শট খেলব না। কিন্তু আবেগের বশে খেলেই ফেললাম। ওই সময়টা একটু ধৈর্য ধরলে হয়তো অন্য ফল হতো,”
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে এই ধসই ছিল ভারতের সর্বনাশের মূল। আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও একই চিত্র দেখা গিয়েছিল—শীর্ষক্রম ভালো পারফর্ম করলেও শেষের দিকে হোঁচট খায় দল। মন্ধানা বলেন, “শেষের দিকটা সব সময়ই কঠিন হয়। ওরাও (ইংল্যান্ড) শেষটা খুব ভালো করতে পারেনি। কিন্তু অভিজ্ঞদেরই এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসে দায়িত্ব নিতে হয়।”
ম্যাচে ব্যাটিং কম্বিনেশনে বদল আনা হয়েছিল। অতিরিক্ত পেসার রেনুকা সিং ঠাকুরকে আনার জন্য জায়গা ছাড়তে হয়েছিল জেমিমা রদ্রিগেজকে। এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মন্ধানা বলেন, “পাঁচজন বোলারে আমরা ঝুঁকি নিচ্ছিলাম। যদি কারও খারাপ দিন যায়, সেটা টিমকে ভুগতে হয়। তাই ব্যালান্সের জন্য এই কঠিন সিদ্ধান্ত।”
এই পরাজয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে ভারতের অবস্থান বিপজ্জনক। সেমিফাইনালে যেতে হলে এখন বাকি দুই ম্যাচে জয় ছাড়া উপায় নেই। মন্ধানা বলেন, “আমরা সবাই জানি এখন থেকে প্রতিটা ম্যাচই ফাইনাল। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের এগিয়ে আসতেই হবে।”
ভারতীয় মহিলা দলের জন্য এই হার শুধু পয়েন্ট টেবিলের ধাক্কা নয়, মানসিক দিক থেকেও বড় ধাক্কা। তবে মন্ধানার দায় স্বীকারই বুঝিয়ে দিচ্ছে—এই দল এখনো লড়াই ছাড়েনি। সামনে সুযোগ আছে নিজেদের ফিরে পাওয়ার।