বাড়ির উঠোনে সাপ জন্মালে, সে যাকে ইচ্ছা ছোবল মারবে, সিওলে পাকিস্তানকে নিশানা করে কী বললেন অভিষেক?

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:১৭:বাড়ির উঠোনে সাপের জন্ম হয়েছে বলে, পরিবারের কাউকে সে’সাপ ছোবল মারবে না, এমনটা ভাবা ভুল। পাকিস্তানকে সাহায্য করার অর্থ সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করা। সোমবার, এহেন ভাষাতেই দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলের বৈঠকে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা নিয়ে পাকিস্তানকে আক্রমণ করলেন সর্বদলীয় সংসদীয় দলের প্রতিনিধি তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানান, সন্ত্রাসবাদের কাছে মাথা নত করার প্রশ্নই নেই। ভারতের ঐক্য ভাঙা যাবে না। জঙ্গিদমনে শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বকে লড়াই করতে হবে।
সন্ত্রাসবাদ মদতের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে বিশ্বজুড়ে নানান দেশে ঘুরছে সংসদীয় প্রতিনিধি দল। একটি দলে রয়েছেন অভিষেক। জাপান ঘুরে তাঁরা দক্ষিণ কোরিয়া পৌঁছেছেন। সেখানকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে ভারত-দক্ষিণ কোরিয়ার সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরে সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে পাকিস্তানকে আক্রমণ করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তাঁর কথায়, “বিশ্বকে বলতে চাই, পাকিস্তানকে সমর্থন করার অর্থ হল সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া। বাড়ির উঠোনে সাপের জন্ম হয়েছে বলে কেউ যদি আশা করেন যে, সেটি কেবল প্রতিবেশীকেই কামড়াবে, তা হলে ভুল। এক বার সেই সাপকে ছেড়ে দিলে, সে যাকে ইচ্ছা তাকে ছোবল মারবে। কারণ, বিষধর বিষধরই থাকে।”
তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, “পাকিস্তান তাদের নিজস্ব ভূমিতে জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে। মদত দিচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানা কেবল ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় নয়, বিশ্বের জন্য চিন্তার। অভিষেকের মতে, “ভারত ও পাকিস্তানের অর্থনীতির গতির দিকে তাকালেই দেখা যাবে, দুই দেশের অর্থনীতির আকাশ-পাতাল ফারাক। পাকিস্তান যখন নিজেদের অর্থনৈতিক সঙ্কটের সঙ্গে লড়াই করছে, তখন ভারত লাফিয়ে লাফিয়ে উন্নতি করেছে। পহেলগাঁওয়ের ঘটনা প্রমাণ করল, ভারত অর্থনীতির উন্নয়নকে ভেঙে ফেলতেই হামলা হয়েছে।” এই বার্তা বিশ্বের কাছে পৌঁছতে চাইছেন তাঁরা। এরপর এই প্রতিনিধিদল ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুর যাবে।
২৬/১১ মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার কথা উল্লেখ করে অভিষেক জানান, ১৬৬ জন নিরপরাধ মানুষকে খুন করেছিল জঙ্গিরা। মৃতদের মধ্যে ২৬ জন বিদেশি নাগরিক ছিলেন। তদন্তে জানা যায়, মূল চক্রীর বড় হয়ে ওঠা থেকে জঙ্গি-প্রশিক্ষণ, সবই পাকিস্তানের মাটিতে হয়েছে। সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতেই হবে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার পাল্টা অপারেশন সিঁদুরের কথাও উল্লেখ করেছেন অভিষেক। তিনি জানান, কেন্দ্র সরকারের যাবতীয় পদক্ষেপে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল হিসেবে পাশে রয়েছে তৃণমূল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়াকেও পাশে চান তিনি।