IIT KGP: দেশে শেষ হয়ে যাচ্ছে বনাঞ্চল? কী জানাচ্ছে আইআইটি খড়গপুর?

September 24, 2025 | < 1 min read
Published by: Manas Modak

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮:০০:  ভারতের বনাঞ্চলের (forests) স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এল আইআইটি খড়গপুরের (IIT Kharagpur) এক গবেষণায়। দেশজুড়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির ফলে সবুজ আচ্ছাদনের পরিমাণ বাড়লেও (afforestation), গাছপালা সঠিকভাবে সালোকসংশ্লেষণ (photosynthesis) করতে পারছে না, যার ফলে ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়ছে বনগুলির স্বাস্থ্য। বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা, বনের এই অবনতি জীববৈচিত্র্য, কাঠের উৎপাদন, বনবাসী মানুষের জীবিকা এবং দীর্ঘমেয়াদী জলবায়ুর পরিস্থিতির জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

“Weakening of forest carbon stocks due to declining Ecosystem Photosynthetic Efficiency under the current and future climate change scenarios in India” শীর্ষক এই গবেষণাপত্রটি এই বছর অগাষ্ট মাসে সায়েন্সডাইরেক্টে (ScienceDirect) প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০০০-২০০৯-এর দশকের তুলনায় ২০১০-২০১৯ সময়কালে ভারতীয় বনগুলির সালোকসংশ্লেষণ কার্যক্ষমতা প্রায় ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। পূর্ব হিমালয় (Eastern Himalayas), পশ্চিমঘাট (Pashchim Ghat) এবং ইন্দো-গাঙ্গেয় (Indo-Gangetic plains) সমভূমির অরণ্যগুলিতেই এই পতনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে।

এদিকে, ভারতীয় বন সার্ভে দ্বারা প্রকাশিত ২০২৩ সালের ভারতের বন রিপোর্ট অনুযায়ী, কৃষিবনায়নের আওতায় দেশের মোট গাছের সবুজ আচ্ছাদনের পরিমাণ ধরা হয়েছে ১,২৭,৫৯০ বর্গ কিলোমিটার। গত দশকে কৃষিবনায়নের আওতায় এই সবুজ আচ্ছাদনের পরিমাণ বেড়েছে ২০ শতাংশ। তবে গবেষকদের মতে, শুধু পরিমাণগত বৃদ্ধিই যথেষ্ট নয়, গুণগত স্বাস্থ্যের দিকটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানুষের বিভিন্ন কার্যকলাপের ফলে ভবিষ্যতে বনাঞ্চলের কার্বন শোষণের দুর্বলতা আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বনসম্পদের এই অবনতি দেশের অর্থনীতির জন্যও একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে, যা সরাসরি প্রভাব ফেলবে কাঠের উৎপাদন, বাজার, বনায়নের গতি এবং দেশের কয়েক কোটি বনবাসীর জীবিকায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen