পৃথিবীর জনসংখ্যা ৮০০ কোটি! ২০২৩-এ চিনকে টপকে যাবে ভারতের জনসংখ্যা

এই গ্রহে এখন ৮০০০০০০০০০ মানুষের বাস।

November 16, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

এই গ্রহে এখন ৮০০০০০০০০০ মানুষের বাস। চলতি বছর ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রসংঘের তরফে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস ২০২২’ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। ১৯৭৪ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ৪০০ কোটির গন্ডী পেরিয়েছিল। মাত্র ৪৮ বছরে জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেল। ২০১১ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল ৭০০ কোটি। এক দশকে ১০০ কোটি বেড়ে তা ৮০০ কোটিতে পৌঁছল। রিপোর্ট অনুযায়ী বলা হচ্ছে, ২০৩০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা পৌঁছবে সাড়ে ৮০০ কোটিতে এবং ২০৫০ সালে তা ৯৭০ কোটি পেরিয়ে যাবে।

রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২৩ সালেই চীনের জনসংখ্যা ছাপিয়ে যাবে ভারত। বর্তমানে ভারত ও চীন দুই দেশের জনসংখ্যা ১৪০ কোটির বেশি। ভারতসহ, গোটা পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অত্যন্ত বেশি। রাষ্ট্রসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গোটা বিশ্বের ২৯ শতাংশ মানুষ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেই বসবাস করেন। অন্যদিকে, পূর্ব এশিয়ায় বিশ্বের ২৬ শতাংশ মানুষ বাস করেন। 

রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট ভারতের জন্য শঙ্কার। এই মুহূর্তে ভারতে খাদ্য, বাসস্থান ও কর্মসংস্থান অপ্রতুল। চাষযোগ্য জমির পরিমাণ ক্রমশ কমে আসছে। ফলে নতুন করে জনবিস্ফোরণ খাদ্য সংকট ডেকে আনতে পারে। যে সব দেশে দ্রুত হারে জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে, তাদের অধিকাংশই দরিদ্র দেশ। ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি দারিদ্র্য দূরীকরণ, সাম্য, খাদ্য সমস্যা সমাধান, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা প্রসারের উদ্যোগকে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে।​ ‘একটি মাত্র সন্তান’ নীতির মাধ্যমে চীন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। কিন্তু ভারতে তেমনটা সম্ভব নয়। নির্বীজকরণ করার পদক্ষেপ নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি, ফলে সে উদ্যোগও মাঠে মারা গিয়েছে। ভারতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে শিক্ষা ও সচেতনতার মাধ্যমে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen