কালীঘাটে মা প্রতিপদ থেকেই পূজিত হন দুর্গারূপে

মন্দির সূত্রের খবর, সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত থাকছে সন্ধিপুজো সহ নানাবিধ আচার-অনুষ্ঠান।

October 18, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

মলমাস শেষ। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে নবরাত্রি। প্রতিপদ থেকে দশমী পর্যন্ত সতীপীঠ কালীঘাট মন্দিরে মা পূজিতা হয়ে থাকেন দুর্গারূপে। দশমীর সন্ধ্যায় মন্দির সংলগ্ন আদি গঙ্গায় কলাবউ বিসর্জনের পরই মাকে ফের কালীরূপে পুজো শুরু হবে। মন্দির সূত্রের খবর, সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত থাকছে সন্ধিপুজো সহ নানাবিধ আচার-অনুষ্ঠান। 

কালীঘাট মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ হালদার জানান, ‘সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে এবার সমস্ত নিয়মকানুন মেনেই মায়ের পুজো অনুষ্ঠিত হবে।’ সর্বস্তরের মানুষের কাছে তিনি এ বিষয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।

কালীঘাট মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরের আর পাঁচটা সময় মায়ের মন্দিরে ভক্তদের দেওয়া ফুল, সিঁদুর আলতা দিনের দিনই পরিষ্কার করে ফেলা হয়। কিন্ত নবরাত্রি থেকে শুরু করে দশমী পর্যন্ত মায়ের মন্দিরের পুজো করা ফুল ও অন্যান্য জিনিসপত্র মন্দিরের বাইরে বার করা হয় না। দশমী পুজো সমাপনের পর গর্ভগৃহের সমস্ত ফুল অন্যান সামগ্রী বার করে সন্ধ্যায় সিঁদুর খেলার পর তা গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়।

কালীঘাট মন্দিরের অন্যতম পূজারী তথা পালাদার আহ্বায়ক রবীন মিশ্র জানান, ‘দুর্গাপুজোর সময়েও মাকে একই ভোগ নিবেদন করা হয়। তবে পরিমাণটা থাকে অনেকটাই বেশি। শারদোৎসবের সমস্ত নিয়মকানুন মেনেই এখানে মা দুর্গারূপে পূজিতা হয়ে থাকেন। ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয় নানাবিধ ফল, নারকেল নাড়ু, নারকেল সন্দেশ প্রভৃতি। এছাড়া থাকে সাদা ভাত, পোলাও, ডাল, পাঁচ রকম ভাজা, ফুলকপির তরকারি, ছ্যাঁচড়া, পাঁচ রকম মাছ ভাজা, কাতলা মাছের কালিয়া, পাঁঠার মাংস, চাটনি, পায়েস, রাবড়ি সহ পাঁচ রকম মিষ্টি এবং মিষ্টি পান। সন্ধ্যা আরতির পর মাকে দেওয়া হয়, নানাবিধ ফল, মিষ্টি ছাড়াও গাওয়া ঘিয়ের লুচি, পাঁচ রকম ভাজা, কষা আলুর দম প্রভৃতি।’

মন্দির সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পুজোর ক’দিন মন্দিরের ভোগ রান্নার জন্য থাকে বিশেষ অনুশাসন। স্নান করে নতুন বস্ত্র পরে তবেই মায়ের জন্য ভোগ রাঁধা হয়। তারপর তা সাজিয়ে দেওয়া হয় কাঁসার থালায়। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen