উত্তরপ্রদেশে বর্ণবৈষম্যের শিকার প্রাইমারি স্কুলের তফসিলি পড়ুয়ারা

ঘটনা জানাজানি হতেই পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

September 26, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
প্রতিকী চিত্র

উত্তরপ্রদেশের মাইনপুরি জেলার দাউদাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছাত্রছাত্রীর (Students) সংখ্যা হাতেগোনা। মাত্র ৮০ জন পড়ে এই প্রাইমারি স্কুলে। কিন্তু এই ছোটখাটো স্কুল থেকেই সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

৮০ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে দাউদাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬০ জনই তফসিলি জাতিভুক্ত। আর তাই স্কুলে সেসব কচিকাঁচাদের জন্য নিয়মকানুন আলাদা। খাওয়া-দাওয়ার জন্য আলাদা পাত্র রাখা আছে এই ৬০ জনের। তাদের রান্নাও হয় অন্যত্র, বাকি ২০ জন ছাত্রছাত্রীর থেকে আলাদা রেখে।

প্রথম থেকেই স্কুলে এই রেওয়াজ চলে আসছে। তবে তা সম্প্রতি সামনে এসেছে, কারণ এই ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কিছুদিন আগে। ঘটনা জানাজানি হতেই পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে সরকারি আধিকারিকরা স্কুলটির ব্যবস্থাপনা দেখে এসেছেন নিজের চোখে। তারপরই সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই শিক্ষিকাকে।

শুধু তাই নয়, ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য যাঁরা মিড ডে মিল রান্না করেন, তাঁদের প্রশ্ন করা হলে তাঁরা জানিয়েছেন, তফসিলি জাতিভুক্ত পড়ুয়াদের থালা বাসন স্পর্শ করতে পারবেন না তাঁরা। একথা শোনার পর তাঁদেরকেও চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে খবর।

জানা যাচ্ছে, ওই এলাকার নতুন সরপঞ্চ মঞ্জু দেবীর স্বামী সাহেব সিং এই স্কুলের রীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তখনই সামনে এসেছে সব কিছু। সিং জানিয়েছেন, ওই স্কুলে পাঠরত কিছু পড়ুয়ার বাবা মা তাঁর কাছে অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। স্কুলে নিজে গিয়েও বিষয়টি যাচাই করে এসেছিলেন তিনি। তারপর এই ব্যবস্থা বন্ধ করতে উদ্যোগী হন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen