দু’মাসে ৫২২ কোটি টাকা ঋণ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর

শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ইতিমধ্যেই ৫২২ কোটি টাকা ঋণ তুলেছেন মহিলারা। চলতি আর্থিক বছরে সব মিলিয়ে এই খাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি।

November 11, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

করোনা আবহে মার খেয়েছে ব্যবসা। তাই বরাদ্দ হলেও ঋণের টাকা তুলতে আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন না স্বনির্ভর গোষ্ঠীর (self Help Group) মহিলাদের বড় অংশ। গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেই উঠে এসেছিল এই চিত্র। ফলে কয়েকশো কোটি টাকা অলসভাবে পড়েছিল ব্যাঙ্কে। তবে আনলক (Unlock) পর্ব যত এগিয়েছে, ততই সচল হয়েছে থমকে যাওয়া অর্থনীতি। বেড়েছে ব্যবসা, বেড়েছে লেনদেন। অর্থনীতির চাকা ফের ঘুরছে সামনের দিকে। আর এই সুযোগে বাড়ছে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ (Loan) নেওয়ার প্রবণতা। মহিলা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাঙ্কে গিয়ে ঋণের টাকা তুলতে শুরু করে দিয়েছেন। গত দু’মাসের হিসেব বলছে, শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ইতিমধ্যেই ৫২২ কোটি টাকা ঋণ তুলেছেন মহিলারা। চলতি আর্থিক বছরে সব মিলিয়ে এই খাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি।

চলতি আর্থিক বছরে এই জেলার মহিলাদের ঋণ দিতে ৯২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য। এর মধ্যে এপ্রিল থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত মাত্র ৭৮ কোটি টাকা তুলেছিলেন বিভিন্ন ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। সেপ্টেম্বর পড়তেই এই চিত্র বদলাতে শুরু করে। ঋণদানের ক্ষেত্রে অন্যান্য জেলাগুলির তুলনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা যথেষ্ট ভালো জায়গায় রয়েছে।

জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট বলছে, প্রায় ৪৩ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য এই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো কাজ হয়েছে ডায়মন্ডহারবার (Diamond Harbour) ২নং ব্লকে। সেখানে মোট বরাদ্দের প্রায় ৭৪ শতাংশ টাকা তুলে নিয়েছেন মহিলারা। ক্যানিং ২ এবং মথুরাপুর ১নং ব্লকেও যথাক্রমে ৬৯ এবং ৬৫ শতাংশ টাকা বণ্টন হয়ে গিয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি ব্লক রয়েছে, যাদের রিপোর্ট আশাব্যাঞ্জক নয়। বজবজ ২, ফলতা, কুলতলি, মগরাহাট ২নং ব্লক তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। দু’ মাস আগের রিপোর্ট দেখে রাজ্য সরকার এব্যাপারে জেলাগুলিকে আরও তৎপর হতে পরামর্শ দিয়েছিল। সেই মতো

গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় (South 24 Parganas District) জোরকদমে প্রচার চালায় প্রশাসন। এতেই সাফল্য এসেছে বলেই মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা। আধিকারিকদের মতে, একটা সময় ছিল, যখন করোনার জেরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী সেভাবে বিক্রি হচ্ছিল না। ওই অবস্থায় ঋণ নিলে তা পরিশোধ করা অসুবিধাজনক বলে মহিলারা সেভাবে ব্যাঙ্কমুখী হননি। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। অনীহা কাটিয়ে বহু মহিলা ঋণ তুলতে আগ্রহী হয়েছেন। তার ফল হাতেনাতে মিলেছে গত দু’মাসে। এই কাজে গতি আসায় স্বস্তিতে জেলার কর্তারা। ঋণদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আর বাকি ৩২৯ কোটি টাকা। হাতে সময় পাঁচ মাস। অবশ্য তার আগেই এই কাজ শেষ করতে চাইছেন কর্তারা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen