প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন আমলকি — শরীর থাকবে সুস্থ, মন থাকবে প্রফুল্ল

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:৩৮: আমলকি, ছোট্ট এক সবুজ ফল, কিন্তু এর গুণে গুণে ভরপুর। ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে একে বলা হয় ‘অমৃতফল’, কারণ এটি শরীরকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে, নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে এবং ত্বক-চুলে আনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সামান্য আমলকি রাখলেই পাওয়া যায় অসাধারণ উপকার।
আমলকির প্রধান গুণাগুণ
১. ভিটামিন C-এর ভাণ্ডার: একটি ছোট আমলকিতে থাকে কমলালেবুর চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি ভিটামিন C। এটি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, সর্দি-কাশি ও ভাইরাল সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
২. ত্বককে করে উজ্জ্বল ও তরতাজা: কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে টানটান ও মসৃণ রাখে।
নিয়মিত আমলকি খেলে বয়সের ছাপ আসতে দেরি হয়, ত্বক হয় উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত।
৩. চুলের জন্য প্রাকৃতিক টনিক: চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল পড়া কমায়। প্রাকৃতিকভাবে চুল কালো রাখতে সাহায্য করে এবং খুশকি রোধ করে।
৪. হজমে উপকারী: অম্লতা, গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।লিভার পরিষ্কার রাখে ও টক্সিন বার করে দেয়।
৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে।
আমলকি শুধু শরীরের ভেতর নয়, বাইরেও কাজ করে সৌন্দর্যের জগতে। চুলে নিয়মিত আমলকি তেল ব্যবহার করলে চুল হয় নরম ও চকচকে। আবার ত্বকের যত্নে আমলকি রস ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়।
হৃদযন্ত্রের যত্নেও এর জুড়ি নেই। আমলকি খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে, রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া আমলকি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং চোখের ক্লান্তি কমায়।
আমলকি খাওয়ার উপায়
সকালে খালি পেটে এক চামচ আমলকির রস খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
শুকনো আমলকি বা গুঁড়ো করে স্মুদি, সালাড বা চায়ে মেশানো যেতে পারে।
আমলকি আচার বা মোরব্বা করেও খাওয়া যায় — এতে স্বাদ ও পুষ্টি দুই-ই মেলে।
ছোট্ট এই ফলটির মধ্যে লুকিয়ে আছে প্রকৃতির অফুরন্ত গুণ। নিয়মিত আমলকি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি ত্বক-চুলেও আসে প্রাকৃতিক দীপ্তি। এমনকি মানসিক সতেজতাও বজায় থাকে। তাই আজ থেকেই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন আমলকি।