Income Tax Bill 2025: আম জনতার WhatsApp, Social Media-য় উঁকি দেবে সরকার?
যেকোনও ব্যক্তির ই-মেইল, ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে হোয়াটস্অ্যাপ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নজরদারি চালানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:০০: নতুন আয়কর বিল (Income Tax Bill 2025) ইতিমধ্যে পাস হয়েছে লোকসভায়। কেন্দ্রের দাবি, এই বিলের উদ্দেশ হল আয়কর আইনের সরলীকরণ। এই আয়কর বিলের একটি বিষয় ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। নানা মহলের দাবি, এই বিলে নাকি আয়কর বিভাগকে যেকোনও ব্যক্তির ই-মেইল, ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে হোয়াটস্অ্যাপ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নজরদারি চালানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
সিলেক্ট কমিটির পর্যালোচনার পর, তাদের একাধিক প্রস্তাব নেমে বিল নতুন করে পেশ করা হয়। ১১ আগস্ট বিলটি পাশ হয়েছে লোকসভায়। বিলে ভার্চুয়াল ডিজিটাল স্পেসে আয়কর বিভাগের নজরদারির অধিকার দেওয়া হচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের। সহজ কথায়, আইনে পরিণত হলে, আয়কর আধিকারিকরা চাইলে সন্দেহভাজন ব্যক্তির ইমেইল, ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নজরদারি চালাতে পারবে।
বর্তমানে আয়কর আধিকারিকরা তদন্তের খাতিরে ল্যাপটপ, হার্ড ড্রাইভ, ইমেইলের অ্যাক্সেস চাইতে পারে। তবে ডিজিটাল রেকর্ডের মধ্যে কী কী রয়েছে, তার স্পষ্ট উল্লেখ ছিল না। নতুন আয়কর বিলের ২৪৭ ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে, আয়কর আধিকারিকরা ডিজিটাল সম্পত্তির ‘অ্যাক্সেস’ নিতে পারবেন তদন্তের স্বার্থে। যদি কেউ পাসওয়ার্ড দিতে অস্বীকার করে, তবে সিকিউরিটি সেটিং ভেঙে ফাইল আনলক করতে পারবেন তারা।
আয়কর আধিকারিকদের যদি সন্দেহ হয়, কেউ কর ফাঁকি দিচ্ছেন বা হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি রয়েছে কারও, তবে ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে আধিকারিকরা ওই ব্যক্তির ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়া, ব্যাঙ্ক ডিটেইল, ইনভেস্টমেন্ট অ্যাকাউন্ট চাইলেই অ্যাক্সেস করতে পারবে। এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ, এই ক্ষমতার ব্যাপক অপব্যবহার হতে পারে। অন্যদিকে, আম জনতার ব্যক্তিগত জীবনে সরকারের উঁকি দেওয়ার অভিযোগও উঠছে। বিরোধীরা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদের হাতিয়ার করে বিরুদ্ধ মতকে দমিয়ে দিতে চায় মোদী সরকার। এই নয়া আয়কর আইনের ক্ষেত্রে সে জিনিস আরও বাড়বে বলে মত নানা মহলের।