মোদী আমলে বেহাল দেশের বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা, DGCA-র অডিটে প্রকাশ্যে ভয়াবহ ছবি
একাধিক বিমানবন্দরে ব্যাগেজ ট্রলির মতো বহু গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সামগ্রী কার্যত ব্যবহারের অযোগ্য। ওয়ার্ক অর্ডার ঠিকমতো মানা হয় না।
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৩৩: আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পর থেকে একের পর এক বিমানে ত্রুটি ধরা পড়ে। তারপরই ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশনের অডিটে উঠে এল দেশের বিমান পরিবহণ ব্যবস্থার এক কঙ্কালসার ছবি। নাগাড়ে ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্ত টায়ার, রানওয়ের বেহাল দশা, অসতর্ক গ্রাউন্ড স্টাফ, পুরনো তথ্যের ভিত্তিতে উড়ান, ট্যাক্সিওয়েতে বেহাল আলোর মতো ভারতীয় বিমান পরিষেবার এমন একাধিক খামতি উঠে এসেছে। এবার থেকে এমন নজরদারি জারি থাকবে।
আহমেদাবাদে বিমান বিপর্যয়ের পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে অসমারিক বিমান পরিবহণ নিয়ামক সংস্থা। ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশনের যুগ্ম ডিরেক্টরদের নেতৃত্বে দু’টি দল দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলিতে হানা দেয়। তাতে উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। ডিজিসিএ-র রিপোর্ট মোদী সরকারের (Modi Govt) বিমান পরিষেবা সংক্রান্ত ব্যর্থতাকে বেআব্রু করে দিয়েছে।
ডিজিসিএ-র (DGCA) রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই মোদী সরকারকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। অডিটে দেখা গিয়েছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরের রানওয়ের দাগ ঝাপসা হয়ে গিয়েছে। বেহাল চাকা নিয়েই বিমান উড়ছে। একাধিক বিমানবন্দরে ব্যাগেজ ট্রলির মতো বহু গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সামগ্রী কার্যত ব্যবহারের অযোগ্য। ওয়ার্ক অর্ডার ঠিকমতো মানা হয় না। উড়ানে সমস্যা হলেও বিমানকর্মীরা তা লগবুকে তুলছেন না। এমন হাজার হাজার সমস্যা ধরা পড়েছে। সংশ্লিষ্ট বিমান পরিবহণ সংস্থাকে প্রতিটি সমস্যা নিয়ে অবগত করে, ত্রুটি সমাধানে সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
কংগ্রেসের দাবি, গত পাঁচ বছরে দেশে ৫৬টি বিমান বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিয়ে নীরব মোদী সরকার। কংগ্রেসের প্রশ্ন, “মোদীজি, কি মানুষের জীবনের থেকে আত্মপ্রচারকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন? যাত্রীদের সুরক্ষা কি সরকারের আর একটি জুমলা? সরকার কি আরও বিমান দুর্ঘটনার জন্য অপেক্ষা করছে? আর কত প্রাণ গেলে দায়িত্ব নেবে প্রশাসন?”