India-China: সীমান্ত সংঘাত সমাধান করতে উদ্যোগী ভারত-চীন
২০২০ সালের মে মাসে পূর্ব লাদাখে সংঘর্ষের পর যেসব ইস্যু ঝুলে আছে, সেগুলিও সমাধানের পথে এগোচ্ছে দুই দেশ।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:০০: ভারত ও চীন সীমান্ত সংঘাত সমাধানে বড় পদক্ষেপ নিয়ে দুই দেশই প্রস্তুত কম বিতর্কিত অংশ থেকে সীমান্ত নির্ধারণ শুরু করে ধাপে-ধাপে স্থায়ী সীমা নির্দিষ্ট (demarcation) করার কাজে নামতে। মঙ্গলবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত ডোভাল এবং চীনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইর মধ্যে অনুষ্ঠিত ২৪তম বিশেষ প্রতিনিধি বৈঠকে এই প্রস্তাবে সম্মতি জানায় চীন।
যদিও দুই পক্ষই আপাতত এই অগ্রগতির খুঁটিনাটি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে, তবুও ডোভাল এবং ওয়াং ই তিনটি প্রধান সেক্টরকে চিহ্নিত করেছেন যেখানে তুলনামূলকভাবে কম সংঘাত। সেখান থেকেই শুরু হবে সীমারেখা নির্ধারণ এবং পরবর্তী ধাপে সীমা চিহ্নিতকরণ। প্রথম ধাপে গঠন করা হবে একটি টেকনিক্যাল এক্সপার্ট গ্রুপ, যা কাজ করবে WMCC-র অধীনে এবং নেতৃত্ব দেবেন বিদেশ মন্ত্রকের একজন যুগ্ম সচিব।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে চিহ্নিত করা হবে সেইসব জমি যেখানে দু’পক্ষের মধ্যে সর্বনিম্ন মতপার্থক্য রয়েছে। তৃতীয় ধাপে হবে সেই জমির সীমারেখা নির্ধারণ (delimitation) এবং চূড়ান্ত ধাপে আন্তর্জাতিক সীমান্তে স্তম্ভ বসিয়ে (placement of pillars) নির্দিষ্ট করা হবে চূড়ান্ত সীমা।
সহজভাবে বলতে গেলে, ভারত ও চীন এবার একসঙ্গে ধাপে-ধাপে সমাধানের পথে হাঁটছে।
২০২০ সালের মে মাসে পূর্ব লাদাখে সংঘর্ষের পর যেসব ইস্যু ঝুলে আছে, সেগুলিও সমাধানের পথে এগোচ্ছে দুই দেশ। বিতর্কিত এলাকায় তৈরি হওয়া বাফার জোনের (buffer zones) বিষয় এখনও অমীমাংসিত থাকলেও, ভারত ও চীন উভয়ই একমত হয়েছে যে সীমান্তে সেনা মোতায়েন থাকবে অ-আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে (non-offensive posture)।
আগামী ৩১শে অগাষ্ট তিয়ানজিনে (Tianjin) সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠক ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হচ্ছে এক নতুন প্রত্যাশা। দুই এশীয় সুপারপাওয়ার এবার পারস্পরিক স্বার্থকে সামনে রেখে আরও বাস্তবসম্মত ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দিকে এগোচ্ছে।