India-China Meet: দিল্লিতে জয়শঙ্কর-ওয়াং ই বৈঠক, ‘3 Mutuals’-এর বার্তা ভারতের বিদেশমন্ত্রীর
তিন বছর পর ভারতে এলেন চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। সোমবার দিল্লিতে তিনি বৈঠক করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:১৮: তিন বছর পর ভারতে এলেন চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। সোমবার দিল্লিতে তিনি বৈঠক করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করবেন বলে খবর।
দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎকে এগিয়ে নিতে “মিউচুয়াল রেসপেক্ট, মিউচুয়াল সেনসিটিভিটি এবং মিউচুয়াল ইন্টারেস্ট” বা ‘থ্রি মিউচুয়ালস’- (সীমান্ত শান্তি, সন্ত্রাস দমন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক) এর ওপর গুরুত্ব দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ওয়াং ই দুই দিনের সরকারি সফরে রবিবার রাতে দিল্লিতে পৌঁছন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের আমন্ত্রণে এই সফর। তাঁর সফরে মূলত ২৪তম বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক হবে ভারত ও চীনের মধ্যে।
জয়শঙ্কর বৈঠকের শুরুতেই বলেন, “আমাদের সম্পর্ক কিছুটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এখন এগিয়ে যেতে হলে খোলামেলা এবং গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি জরুরি। পার্থক্যকে কখনও বিরোধে পরিণত করা যাবে না।” তিনি আরও যোগ করেন, সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা ছাড়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ইতিবাচক অগ্রগতি সম্ভব নয়। মঙ্গলবার সীমান্ত নিয়ে অজিত ডোভালের সঙ্গে ওয়াং ই বিস্তারিত আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি।
এছাড়া সন্ত্রাস দমনকেও অগ্রাধিকারমূলক বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে সব রূপে মোকাবিলা করতে হবে। আশা করি এই বৈঠক আমাদের সম্পর্ককে আরও স্থিতিশীল, সহযোগিতামূলক এবং ভবিষ্যতমুখী করতে সাহায্য করবে।”
বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বহুপাক্ষিক কাঠামো সংস্কারের বিষয়েও মতামত দেন ভারতের পররাষ্ট্র বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিশ্বের দুই বৃহত্তম দেশের মধ্যে আলোচনা স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি স্পর্শ করবে। আমাদের লক্ষ্য একটি ন্যায়সঙ্গত, ভারসাম্যপূর্ণ এবং বহুমেরু ভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলা।”
এই সফরের সময়ে শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলন প্রসঙ্গও উঠে আসে। আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর তিয়ানজিনে এই সম্মেলন হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চীনের বিদেশ মন্ত্রকও সফরের আগে জানায়, এই বৈঠক দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করার সুযোগ। বেজিংয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “আমরা চাই এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ ঐক্যমত বাস্তবায়িত হোক এবং পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতা বাড়ুক।” ওয়াং ই-র সফরকেই তাই আগামী দিনগুলিতে ভারত-চীন সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।