Asia Cup 2025: আজ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধং দেহি মেজাজেই মাঠে নামবেন সূর্যকুমার যাদবরা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ০৮:৩০: আজ রবিবার এশিয়া কাপের সুপার ফোরে মর্যাদার লড়াইয়ে আবার মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। তার আগে জোরকদমে অনুশীলন করল দু’দল। দলকে চাঙ্গা করতে পাকিস্তান নিয়ে আসে ‘মোটিভেশনাল স্পিকার’কে। এ দিকে, ভারতের ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল শনিবার। শুভমন গিলকে স্পিনের বিরুদ্ধে খেলা শেখালেন অভিষেক শর্মা। একেবারে যুদ্ধং দেহি মেজাজেই রয়েছেন সূর্যকুমার যাদবরা। সার্জিকাল স্ট্রাইকের মেজাজে সলমন আগা বাহিনীকে চুরমার করার টগবগে আত্মবিশ্বাস শিবিরে। শেষ দশটি মোকাবিলার আটটাতেই বাজিমাত করেছে ভারত। সেই পরিসংখ্যানও নক-আউট পাঞ্চের মনোবল বাড়াচ্ছে।
প্রত্যাশা বেশি। চাপ বেশি। একে তো ভারত-পাক লড়াই। তার উপর আবার দু’দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক জটিলতা। সব মিলিয়ে রবিবাসরীয় মহারণের আগে বিরাট চাপে থাকার কথা ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের। কিন্তু তিনি যেন এসব কিছুরই ধার ধারেন না। শনিবার মহারণের আগে ১২ মিনিটের সাংবাদিক বৈঠক করলেন ভারত অধিনায়ক। তাতে তাঁর হাবেভাবে বোঝাই গেল না যে ২৪ ঘণ্টা বাদেই তাঁকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামতে হবে।
ম্যাচের আগের দিন ১২ মিনিটের সাংবাদিক বৈঠক করলেন ভারত অধিনায়ক। সেখানে অন্তত ছ’টি প্রশ্ন করা হল পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে। সব প্রশ্নের উত্তরও দিলেন। কিন্তু একবারও প্রতিপক্ষের নাম মুখে আনলেন না। কাজ সারলেন হয় সর্বনাম, নয় বিশেষণে। সেই সঙ্গে খানিক হুঙ্কারের সুরেই ভারত অধিনায়ক বলে গেলেন, কাল ১৪০ কোটি ভারতবাসীকে দারুণ রবিবার উপহার দিতে চান তিনি।
বাইশ গজে ভারত-পাক লড়াই চিরকালই সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মতো। যে কোনও সময় বেরিয়ে আসতে পারে আগুনের ফুলকি, লাভাস্রোত। গত সাত দিনে সেটাই হয়েছে। উত্তেজনার পারদ ক্রমশ আকাশছোঁয়া। গত রবিবার টসের সময় পাক অধিনায়কের সঙ্গে হাত মেলাননি সূর্য। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরও বিপক্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে করমর্দন করেননি কোনও ভারতীয়। পুরস্কার বিতরণের মঞ্চে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানায় নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন সূর্য। এই জয় ভারতীয় সেনাহবাহিনীকে উৎসর্গ করেন তিনি। ক্ষুব্ধ পাকিস্তান বয়কট করে প্রেস কনফারেন্স। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে নিয়ে জানায় আপত্তি। কিন্তু পিসিবি’র দাবি উড়িয়ে দিয়ে সুপার ফোরের এই ম্যাচেও ফের দায়িত্বে পাইক্রফট। অর্থাৎ, মুখ পুড়েই চলেছে পাকিস্তানের। অক্ষম রাগে অবশ্য শনিবারও মিডিয়াকে বয়কট করল পাকিস্তান। কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ ছাড়াই!
বাইশ গজেও একেবারেই ম্রিয়মাণ দেখাচ্ছে ইমরান খান, ওয়াসিম আক্রামদের উত্তরসূরিদের। ভারতের থেকে এমনিতেও স্কিলে অনেক পিছনে তারা। গত রবিবার কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেলদের ঘূর্ণিজালে একেবারেই অসহায় দেখিয়েছিল ফখর জামান, মহম্মদ হ্যারিসদের। কোনওক্রমে একশো পেরয় তারা। পাক বোলিংয়ের সীমাবদ্ধতা আবার ধরিয়ে দেন অভিষেক শর্মা, সূর্যরা। ক্রিকেটপ্রেমীরা আবার এমন দাপুটে পারফরম্যান্সই চাইছেন গৌতম গম্ভীরের ছাত্রদের থেকে। ফের ‘অপরাশেন সিন্দুর’ দেখার অপেক্ষাতেই দুবাই।