Operation Sindoor-এ ভেঙে পড়েছিল ভারতের যুদ্ধবিমান, বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি CDS অনিল চৌহানের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:৪০: অপারেশন সিঁদুর চালাকালীন পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে দেশের যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ার কথা স্বীকার করে নিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ঠিক কতগুলি জেট ভেঙে পড়েছিল, রাফাল ভেঙে পড়েছিল কিনা, তা জানা যায়নি। সিঙ্গাপুরে শাংগ্রি-লা ডায়লগে অংশ নিয়েছেন ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান। আলোচনার অবসরে ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনিল বলেন, পাকিস্তান দাবি করছে; ভারতের ছ’টি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছে বলে, তা সম্পূর্ণ অসত্য।
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ার সত্যতা নিয়ে মোদী সরকার বা সেনাবাহিনীর শীর্ষস্তর থেকে এর আগে স্পষ্ট উত্তর আসেনি। রাফাল যুদ্ধবিমানের ক্ষয়ক্ষতির জল্পনা নিয়ে ভারতের কাছে ফ্রান্সের তরফে তথ্য চাওয়া হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। সংখ্যার প্রশ্নে জবাব এড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘সংখ্যাটা বড় কথা নয়। জেট ধ্বংস হওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হল কেন সেগুলি ভেঙে পড়ল। কোথায় ভুল-ত্রুটি হয়েছিল। ট্যাকটিকাল ত্রুটিগুলি আমরা বুঝতে পেরেছি। আমরা সেগুলি শুধরে নিয়েছি। দু’দিন পর ফের আমাদের সব জেট ওড়ানো হয়েছে। লং রেঞ্জ টার্গেটে আঘাত করা হয়েছে।’’
যুদ্ধবিমান ধ্বংসের সত্যতা সেনাকর্তা স্বীকার করে নেওয়ার পর কংগ্রেস সহ বিরোধীরা মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়িয়েছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের দাবি, অপারেশন সিঁদুরে কত সামরিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এবার তা স্পষ্ট করুক সরকার। কার্গিল যুদ্ধের পর সামরিক পদক্ষেপের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এবারও তেমন কোনও কমিটি গঠন করা হবে কি না, তা জানাক সরকার।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, ভারত-পাক সংঘাত পরমাণু যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছিল, অনিল চৌহান তা খারিজ করে দিয়েছেন। অনিল চৌহানের কথায় আরও জানা গিয়েছে, চীন-সহ অন্যান্য দেশ থেকে পাকিস্তান যেসব অস্ত্রশস্ত্র পেয়েছিল সেগুলি কাজে দেয়নি। পাকিস্তানের ৩০০ কিলোমিটার ভিতরে উচ্চ নিরাপত্তা বলয়ে থাকা এয়ারফিল্ডেও ভারত নিখুঁতভাবে আঘাত করেছে।