পুজোর বুকিংয়ে মুহূর্তে উধাও রেলের টিকিট! এখনও দালালরাজ মুক্ত নয় Indian Railway?
সেকেন্ড এসিতেও একই পরিস্থিতি। পদাতিক এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। ২৬ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর থার্ড এসিতে টিকিট নিঃশেষ।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:০৬: পুজোর বুকিংয়ের উইন্ডো খোলা মাত্র মুহূর্তেই উধাও রেলের টিকিট। কনফার্মড টিকিট তো মিলছেই না। ওয়েটিং লিস্ট টিকিটও অমিল। রেলের যাবতীয় ঢক্কানিনাদ সত্ত্বেও টিকিট পাচ্ছেন না যাত্রীরা। কীভাবে মুহূর্তে এত টিকিট উধাও, চক্ষু চড়কগাছ আম আদমির।
দিল্লি থেকে কলকাতা হোক বা কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ— সর্বত্র একই হাল। এমনকী পুজোর ছুটিতে বাড়ি ফেরার টিকিট কাটতে গিয়েও নাকাল হতে হচ্ছে যাত্রীদের! ভ্রমণপ্রেমী বাঙালি কি পুজোর বেড়াতে যাবে না? এত স্বল্প সময়ের মধ্যে ট্রেনের টিকিট কীভাবে শেষ হয়ে যেতে পারে! তবে কি দালালরাজ এখনও রেল ব্যবস্থার রন্ধ্রে রন্ধ্রে?
বৃহস্পতিবার সকালে ২৯ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সপ্তমীর জন্য টিকিট উইন্ডো খোলে। মুহূর্তে ফুরিয়ে যায় টিকিট! শুরু হয় হাহাকার। হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চেয়ার কারে ২৭ এবং ২৮ সেপ্টেম্বর কোনও টিকিট নেই। এগজিকিউটিভ চেয়ার কারে ২৭ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্তও টিকিট নেই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৯ সেপ্টেম্বর চেয়ার কারে ওয়েটিং লিস্ট ২৯৮! শিয়ালদহ-এনজেপি দার্জিলিং মেলের থার্ড এসি, স্লিপারে ২৬ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিকিট নেই। টু টিয়ার এসিতে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে টিকিট শেষ। শিয়ালদহ থেকে উত্তরবঙ্গগামী পদাতিক এক্সপ্রেসেও ২৫ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ‘রিগ্রেট’ বার্তা। সেকেন্ড এসিতেও একই পরিস্থিতি। পদাতিক এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। ২৬ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর থার্ড এসিতে টিকিট নিঃশেষ। অন্যদিকে, দিল্লি থেকে কলকাতা, হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেসের সেকেন্ড ক্লাস এসিতে ২৭ সেপ্টেম্বর টিকিট অমিল। শিয়ালদহ রাজধানীর সেকেন্ড এসিতে ২৬ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর টিকিটও নিঃশেষিত।
এক মুহূর্তে টিকিট উধাওয়ের কারণ কী? নানা মহলের মতে, দালালরাজের বাসা ভাঙতে পারেনি রেল। অন্যদিকে, রেলমন্ত্রকের দাবি, ট্রেনের টিকিটে দালালরাজ বন্ধ করতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। আধারভিত্তিক তৎকাল টিকিট বুকিং চালু হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত দালালদের ই-টিকিটও বুকিংও করতে না দেওয়ার ব্যবস্থা। পাশাপাশি দূরপাল্লার মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে ওয়েটিং লিস্টে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ক্যাপিংয়ের সিদ্ধান্ত। ফলে নির্ধারিত সংখ্যক টিকিট বুকিংয়ের পর ওয়েটিং লিস্টও পাওয়া যাবে না। টিকিট কনফার্মড করিয়ে দেওয়ার অসাধু চক্রের সক্রিয়তাও কমবে। কিন্তু বাস্তবে ছবিটা একেবারেই আলাদা। যাত্রীরা টিকিট না পেয়ে হাহাকার করছেন, ভোগান্তি কমছে না।