ইন্ডিগোর একের পর এক উড়ান বাতিল, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:৪৫: একের পর এক বিমান বাতিল! ইন্ডিগোর উড়ান পরিষেবায় সমস্যার জেরে দিনভর চরম দুর্ভোগে পড়লেন যাত্রীরা। বহু বিমান দেরিতে চলছে। দীর্ঘ সময় ধরে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর বিমান বাতিলের খবর মিলেছে। নির্দিষ্ট সময় বিমানটি চলবে কি-না বা কতক্ষণ দেরি হবে, তার কোনও তথ্য দেওয়া হচ্ছে না।ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন যাত্রীরা। অভিযোগ, বিমান সংস্থার হেল্পলাইন নম্বরগুলি কাজ করছে না। ফোন করলে বলছে, অস্তিত্ব নেই। পাইলট সহ বিমান কর্মীদের ঘাটতির কারণে ইন্ডিগো বিমান সংস্থার পরিষেবা ব্যাহত। বুধ ও বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে ইন্ডিগোর পাঁচশোর বেশি বিমান বাতিল হয়েছে। কলকাতাতেও টানা দু’দিনে শতাধিক বিমান বাতিল হয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, আগাম কোনও খবর দেওয়া হচ্ছে না। শুক্রবারেও বদলায়নি চিত্র।
কলকাতা বিমানবন্দরে ইন্ডিগো বিমান সংস্থার কাউন্টারে গিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। যাত্রীদের বক্তব্য, আগে থেকে টিকিট কাটা, তাহলে বিমান বাতিল বা দেরি হওয়ার খবর আগাম কেন জানানো হবে না। সংযোগকারী বিমানের যাত্রীরা আরও সমস্যায় পড়ছেন। বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে ২২টি ইন্ডিগো বিমান বাতিল হয়েছে। ১৪৬টি বিমান দেরিতে চলেছে। যাত্রীদের অভিযোগ, ইন্ডিগো বিমান সংস্থার টেলিফোন নম্বরগুলি কাজ করেনি। ইন্ডিগো সংস্থার ল্যান্ড লাইন এবং টোল ফ্রি নম্বরগুলি কখনও বলছে অস্তিত্বহীন। আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ব্যস্তও পাওয়া গিয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর ডিউটি এয়ারপোর্ট ম্যানেজারের মোবাইল ফোনও সুইচ অফ থাকবে বলে অভিযোগ।
ইন্ডিগো তরফে জানানো হয়েছে, মূলত মেট্রো শহরগুলির যোগাযোগকারী বিমান বাতিল করা হয়েছে। বহু বিমান দেরিতে চলছে। কর্মী সংখ্যার কারণ তো আছেই, পাশাপাশি আবহাওয়া এবং প্রযুক্তিগত কারণেও বিমান বাতিল করতে হয়েছে।
কর্মীর অভাব, যান্ত্রিক ত্রুটি সব মিলিয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবারে প্রায় ১২০০ বিমান বাতিল হয়েছে। কলকাতা থেকে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ— সমস্ত বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভোগান্তির ছবি। জানা যাচ্ছে, আগামী দু-তিনদিন উড়ান বাতিল হবে। ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিষেবা স্বাভাবিক করার ব্যাপারে ইন্ডিগো DGCA-কে আশ্বাস দিয়েছে।