একের পর এক দলবদলু নেতার ফুলবদল, বিজেপির অন্দরে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব আরও প্রকট

একুশের বিধানসভা ভোটে ১৩৪ জন দলবদলু নেতাকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি।

May 24, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

শুরুটা হয়েছিল মুকুল রায়কে দিয়ে। ২০১৯ এর নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ঘর ভাঙানোর খেলায় মেতেছিল বিজেপি। ২০২১ এর পর পাল্টা দিচ্ছে জোড়াফুল শিবির। মুকুল, রাজীব, সব্যসাচী – একের পর এক দলবদলু নেতা ফুল বদল করে আবার ভিড়ছেন ঘাসফুল শিবিরে। এই তালিকায় নবতম সংযোজন অর্জুন সিংহ। আর এতেই আরও প্রকট হয়ে উঠেছে আদি বনাম নব্য দ্বন্দ্ব।

একুশের বিধানসভা ভোটে ১৩৪ জন দলবদলু নেতাকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। নির্বাচনে পর্যুদস্ত হওয়ার পর এদের অনেকেই গেরুয়া ছেড়ে ছেড়ে সবুজ শিবিরে প্রত্যাবর্তন করেছেন। বেশ কিছু নেতা তলে তলে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, আর কেউ কেউ জল মাপছেন। এই দলবদলু নেতাদের নিয়ে বিজেপির অন্দরে বাড়ছে ক্ষোভ। তৈরি হয়েছে অবিশ্বাস।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক আদি নেতা উষ্মা প্রকাশ করে জানান, অন্য দল থেকে নেতা ভাঙিয়ে এনে সংগঠন বানালে তো এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। এখনও দলের নানা পদে অন্য দল থেকে আসা নেতারা রয়েছেন। এঁদের কোনও আদর্শ বা নীতিবোধ নেই। যে কোনও দিন তাঁরা পুরনো দলে ফিরে যেতে পারেন।

উল্লেখ্য, বিজেপির পরিষদীয় দলের নেতা, অর্থাৎ বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তবে কি তাঁকে নিয়েও গেরুয়া শিবিরে রয়েছে অসন্তোষ? দলের অন্দরে কান পাতলে এমনটাই শোনা যাচ্ছে। ভুললে চলবে না, সম্প্রতি ময়না ও হলদিয়া বিধানসভার মণ্ডল সভাপতি নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এসেছে শুভেন্দু ও সুকান্তর সংঘাতের চিত্র।

বঙ্গ বিজেপির সময়টা এখন একদমই ভালো যাচ্ছে না। নড়বড়ে সংগঠন, আর দলের মধ্যে আদি-নব্য বিভাজন নিয়ে ২০২৪ এর বৈতরণী কীভাবে পার করবে দল, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen