অধরা হাদির খুনি, এবার ইউনুস সরকারকে উৎখাতের হুঁশিয়ারি ইনকিলাব মঞ্চের!
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৫২: ওসমান হাদির (Osman Hadi) হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে দেওয়া ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা শেষ। কিন্তু প্রশাসনের তরফে মেলেনি কোনও সদর্থক সাড়া। আর এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ল ‘ইনকিলাব মঞ্চ’। সোমবার সময়সীমা (Deadline) পেরোতেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রশাসনকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল তারা। সংগঠনের নেতা আব্দুল্লাহ আল জাবের স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এবার তাঁরা সরকারের ওপর সমর্থন বজায় রাখবেন নাকি উৎখাতের ডাক দেবেন, তা নিয়ে গুরুতর ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।
রবিবারই ইনকিলাব মঞ্চের তরফে অন্তর্বর্তী সরকারকে চরম হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। সংগঠনের দাবি ছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। ব্যর্থতায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সহকারী উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে। সেই ‘ডেডলাইন’ সোমবার দুপুরে শেষ হয়েছে, কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
এদিন দুপুরে হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে নতুন করে আন্দোলনের ডাক দিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, “আমাদের দেওয়া ডেডলাইন পেরিয়ে গিয়েছে। অথচ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। চোখের সামনে কোনও দৃশ্যমান পদক্ষেপ ছাড়াই সময়সীমা অতিক্রান্ত হল। এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে ইউনুস প্রশাসনকে আমরা সমর্থন করব, নাকি তাদের উৎখাতের ডাক দেব-সেটা এখন আমরা গভীরভাবে বিবেচনা করছি।”
সরকারের স্বরাষ্ট্র ও আইন উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব এড়ানোর অভিযোগ তুলে জাবের আরও বলেন, “নির্বাচনের আগে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যদি তা না হয়, তবে ফের রক্ত ঝরবে। তখন পরিস্থিতি আর থামানো যাবে না।” দেশের গোয়েন্দা ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, “নাগরিকদের করের টাকায় পরিচালিত দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি যদি খুনিদের শনাক্ত করতে না পারে, তবে তাদের থাকার কোনো প্রয়োজন নেই।”
আব্দুল্লাহর এই মন্তব্যের পরেই রাজনৈতিক মহলে নতুন করে শোরগোল পড়ে গেছে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি শেখ হাসিনার পর এবার ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধেও ঢাকার রাজপথে নতুন করে গণআন্দোলন দানা বাঁধছে? ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর এই আল্টিমেটাম নতুন কোনও অস্থিরতার ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।