মুখ্যমন্ত্রীর সভা নিয়ে উন্মাদনা উত্তরবঙ্গে
মূল মঞ্চে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন কয়েকজন মন্ত্রী, বিধায়ক, জেলা তৃপমূলের শীর্ষ নেতারা।

১৫ই ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি কলেজপাড়ায় এবিপিসি ময়দানে মুখামন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কর্মীসভা ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। গতকাল জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের বৈঠক থেকে এমনটাই জানা গেছে। এবিপিসি ময়দানে তিনটি মঞ্চ করা হচ্ছে। মূল মঞ্চে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন কয়েকজন মন্ত্রী, বিধায়ক, জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। পাশের দুটি মঞ্চে জলপাইগুড়ি জেলা ও আলিপুরদুয়ার জেলার ব্লক সভাপতি, অন্য জেলা নেতৃত্ব, পুরসভার চেয়ারম্যান, পুর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান, প্রশাসক বোর্ডের সদস্য, দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতারা থাকবেন।
সভান্থলের পাশেই আইটিআই কলেজের সভাকক্ষে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ), সদরর, মহকুয়া শাসক, পুলিশ, দমকল, স্বাস্থ্য, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। জলপাইগুড়ি পুরসভার পক্ষে সন্দীপ মাহাতো, জেলা তৃণমূল মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জলপাইগুড়ি জেলা (Jalpaiguri) তৃণমূল নেতৃত্বের টার্গেট- ওইদিনের সভায় ৭০ হাজার মানুষকে উপস্থিত করা। কিন্তু বিপুল সংখ্যায় বুথকর্মী এলে তাদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য ময়দানের ভিতরে এবং বাইরে বেশ কয়েকটি জায়েন্ট স্ক্রিন থেকে দলীয় নেত্রীর ব্তবা শোনানো হবে। এবিপিসি ময়দানে অনেকগুলি ব্লক করা হবে। তার মধ্যে চারটি ব্লক মহিলা বুথকর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট রাখা হচ্ছে। মহিলাদের জন্য আলাদা শৌচালয়ের বাবস্থা করা হবে।
এদিন দমকল, স্বাস্থ্য ইউনিট কোথায় থাকবে, কতগুলি প্রবেশপথ করা হবে তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। গাড়ি রাখার ব্যবস্থা সভাস্থল থেকে কত দূরে করা হবে তাও আলোচনা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী কোন হেলিপ্যাডে নামবেন, কীভাবে সড়কপখে সভাস্থলে আসবেন তাও আলোচনা করা হয়। জানা গেছে, ওইদিন বেলা ১২টায় এই সভা শুরু হবে। দুপুর ২টার মধ্যেই সভা শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে কোচবিহারে চলে যাবেন।
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল (Trinamool) সভাপতি বলেন,“দলনেত্রী এই সভাস্থল থেকে কর্মীদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন। বিজেপির চক্রান্ত নিয়েও বার্তা দেবেন। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বিপুল জমায়েত করে দেখিয়ে দেব।“