বাজার মাতাচ্ছে বাংলার পরিবেশবান্ধব জৈব সিঁদুর
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ, মুচিসা ও আমতলাজুড়ে সিঁদুর গাছ তৈরি হয়। বজবজ, মুচিসা, আমতলায় একাধিক নার্সারি রয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, মুম্বইয়ে পরিবেশবান্ধব জৈব সিঁদুরের আগ্রহ বাড়ছে। গ্রাহকরা, কেমিক্যাল সিঁদুরের থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন। দিন দিন মেটে সিঁদুর চাহিদাও বাড়ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ, মুচিসা ও আমতলাজুড়ে সিঁদুর গাছ তৈরি হয়। বজবজ, মুচিসা, আমতলায় একাধিক নার্সারি রয়েছে।
কেমিক্যাল সিঁদুর লাল। অন্যদিকে, সিঁদুর গাছের ফলের দানা থেকে তৈরি জৈব সিঁদুর মেটে রঙের। দীর্ঘদিন ধরে লাল টকটকে কেমিক্যালের তৈরি সিঁদুর বাজার দখল করে রেখেছে। এই সিঁদুর ব্যবহারে শরীরে সমস্যা দেখা দেয়। তাই বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, মুম্বইয়ে জৈব সিঁদুর ব্যবহারের ঝোঁক বাড়ছে। সিঁদুর গাছের চারা অন্য সব রাজ্যে পাওয়া যায় না। সিঁদুর গাছ চাষের আর্দশ মাটি ও আবহাওয়া রয়েছে বাংলায়। যার এই অঞ্চলে সিঁদুর চারাগাছ তৈরি হয়। মাঘ ও ফাল্গুনে গাছ হয়। দুই থেকে তিন মাস ফল থাকে। তারপর শুকিয়ে যায়।
সিঁদুর গাছ বেশ ঝাঁকড়া ও বড়। এর ফল লিচুর মতো। প্রচুর ফল হয়। পাকা ফলের রঙ লাল। ফলের ভিতর অনেক দানা। দানাগুলি জলে ভিজিয়ে রাখলে লালচে মেটে রঙ ধারণ করে। এরপর তা ডলে ডলে জল ছেঁকে ফেলে দিলে সিঁদুর পাওয়া যায়। এই সিঁদুর ব্যবহার করলে কোনও সমস্যা হয় না। তাই দিন দিন এর ব্যবহার বাড়ছে। মেটে সিঁদুরের ব্যবহার বাড়লে চাষ আরও বেড়ে যাবে। এখন জৈব ফলনের উপর জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার।