পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, জৈন, শিখদের মতো সংখ্যালঘুদের তাড়াচ্ছে মোদী সরকার? CAA-র জুমলা ফাঁস তৃণমূল সাংসদের
মোদী সরকারের দাবি ছিল, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারতে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করেছে নয়া দিল্লি। তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার ফরমান জারি করা হয়েছে। পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, জৈন, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধদের মতো সংখ্যালঘুদের দেশ থেকে তাড়াচ্ছে মোদী সরকার যা সিএএ-র পরিপন্থী বলেই মত তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে।
মোদী সরকারের দাবি ছিল, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বাস্তবে মাত্র ৩৫০ জন নাগরিকত্ব পেয়েছেন। এবার ২০১৪ সালের পর বিগত এগারো বছর ধরে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভিসা বাতিল করে দেশে ফেরানো হচ্ছে বা জেল বন্দি করা হচ্ছে। তাঁরা হলেন, পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, জৈন, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধদের মতো সংখ্যালঘুরা। এতদিন যাঁদের রক্ষা করছেন বলে দাবি করে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সাকেত এক্স পোস্টে লিখছেন, “সংখ্যালঘুদের নিশানা করা এবং দেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরি করার জন্যেই ওয়াকফের মতো সিএএ আইন এনেছিল মোদী সরকার। জঙ্গিদের শাস্তি দেওয়ার বদলে, একইভাবে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলাকে ব্যবহার করছে মোদী সরকার।”
অত্যাচারিত হয়ে আসা, শরণার্থী সংখ্যালঘুদের দেশ থেকে তাড়ানোর অর্থ সিএএ-র শর্ত লঙ্ঘন। তবে কি ভোটে জেতার হাতিয়ার হিসাবে সিএএ-কে ব্যবহার করেছিল বিজেপি?