শশী থারুর কি এখন নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করছেন? উঠছে প্রশ্ন
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা এবং তার পর ভারতের পাল্টা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছিল কেন্দ্র।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:৩০: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা এবং তার পর ভারতের পাল্টা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। এই কর্মসূচিতে কংগ্রেস (Congress) থেকে ছিলেন সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor)। আর এই সফরে একাধিক দেশ থেকে থারুরের মোদী-বন্দনা শোনা গিয়েছিল। এমনকি কেন্দ্র সরকারের দরাজ প্রশংসাও করেন এই কংগ্রেস নেতা। তা নিয়ে যে চর্চা হয়নি এমনটা নয়। তবে এবার শশীর মোদী-প্রীতি নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করল কংগ্রেসের কোর কমিটি।
বিদেশের মাটিতে শশী থারুরের বক্তব্যের বিরোধিতা করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) স্পষ্ট ইঙ্গিত দলেন যে, দল হয়তো আর থারুরের অবস্থান মেনে নিতে রাজি নয়। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে দেশ আগে। কিন্তু কারও কারও কাছে মোদী আগে! যার যা খুশি লেখার স্বাধীনতা আছে।”
এই বিতর্ক ফের উস্কে দিয়েছেন খোদ শশী থারুর। বাংলাদেশ থেকে এদেশে অনুপ্রবেশের হার কমেছে। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সংক্রান্ত আলোচনায় রীতিমতো তথ্য-পরিসংখ্যান উঠে এল। এদিন বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের তরফে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে জমা পড়া রিপোর্টের প্রসঙ্গ তুলে ইউপিএ জমানার বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শশী থারুর বলেন, কমিটিতে জমা পড়া একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যাচ্ছে যে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা কমে গিয়েছে। তাঁর এই বক্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রশ্ন উঠছে শশী কি এখন অঘোষিত ভাবে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করছেন?