বাংলার টেকনিশিয়ানদের আন্দোলন কি এবার সর্বভারতীয় স্তরে?
টলিপাড়ায় পরিচালক ও টেকনিশিয়ানদের মতবিরোধ চলছে বেশ কয়েক মাস।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: টলিপাড়ায় পরিচালক ও টেকনিশিয়ানদের মতবিরোধ চলছে বেশ কয়েক মাস ধরেই, যার জেরে বেশ কয়েকদিন ধরে বন্ধ ছিল শুটিং।পরিচালকদের পর প্রযোজকদের ‘একাংশ’র বিরুদ্ধেও ‘অসহযোগিতা’-র অভিযোগ তুলেছে ফেডারেশন। এবার এই অসহযোগিতা বাংলার বাইরে সর্বভারতীয় স্তরে পৌঁছে গেল? ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান অ্যান্ড ওয়ার্কাস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের চেন্নাই যাত্রা সেই জল্পনাকে আরও খানিকটা উস্কে দিয়েছে।
ফেডারেশন-পরিচালকদের দ্বৈরথ শুধু বাংলায় নয়, একই চিত্র নাকি তামিল ইন্ডাস্ট্রিতেও। এই মুহূর্তে তামিল ফিল্ম ফেডারেশনে প্রযোজকদের বিরুদ্ধেও নাকি একগুচ্ছ অভিযোগ এনে অসহযোগিতার পথে হেঁটেছেন হাজার খানেক দক্ষিণী টেকনিশিয়ান।
‘এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অব সাউথ ইন্ডিয়ার’ তরফে সর্বভারতীয় স্তরে যত এমপ্লয়িজ বা টেকনিশিয়ানদের অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে, টেকনিশিয়ানদের সব অ্যাসোসিয়েশনকেই এই আন্দোলনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আজ অর্থাৎ ১৪ মে, চেন্নাইতে ‘অল ইন্ডিয়া ফিল্ম এমপ্লয়িজ কনফেডারেশন’-এর বিরাট আন্দোলন শুরু হচ্ছে। আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথিদের তালিকায় রয়েছে স্বরূপ বিশ্বাসের নাম। বাংলার প্রযোজকদের ‘অনৈতিক কার্যকলাপ’ নিয়েও সেখানে বক্তব্য রাখতে চলেছেন ফেডারেশন সভাপতি।সেখানে গিয়ে বাংলার সমস্যাগুলো সর্বভারতীয় সংগঠন অল ইন্ডিয়া ফিল্ম এমপ্লয়িজ কনফেডারেশন (AIFEC)এর কাছে তুলে ধরবেন’।
উল্লেখ্য, গত ১ লা মে ‘ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’র অন্তর্ভুক্ত সমস্ত গিল্ড এবং নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে একটি মেগা মিটিং হয়. সেখানে স্বরূপ বিশ্বাসের বক্তব্যে অভিযোগে উঠে এসেছিল বাংলা ছবির কিছু প্রযোজকদের কথাও। নাম না করেই তিনি একাধিকবার বলেছেন, ‘অনেকেই এমন রয়েছেন, যাঁরা পরিচালকদের সঙ্গে হাতে হাত রেখে, টেকনিশিয়ানদের ক্ষতি করে চলেছেন। কিন্তু তাঁরা এটা ভুলে যাচ্ছেন, ফেডারেশনের ঐক্যতাকে এত সহজে ভেঙে ফেলা সম্ভব নয়। সব কিছু মনে রাখা হবে!’ মাত্র ১৩ দিনেই এই ইস্যু এমন এক রূপ নেবে তা অনেকেরই ধারণার বাইরে ছিল।