যুদ্ধবিরতিতে ইজরায়েল-হামাস, সেনা সরানোয় গাজায় ফিরছে স্বস্তি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১.৩০: দীর্ঘ দুই বছরের সংঘাতের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতির পথে এগোল ইজরায়েল ও হামাস। শুক্রবার ইজরায়েলের মন্ত্রীসভা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সায় দেওয়ার পরই শুরু হয় সেনা প্রত্যাহার ও বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া। গাজার উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্তকে আন্তর্জাতিক মহল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে।
ইজরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজার নির্ধারিত অঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে এবং নতুন অবস্থানে মোতায়েন করছে। এই ঘোষণার পর থেকেই হাজার হাজার গাজাবাসী ধ্বংসস্তূপ পেরিয়ে নিজেদের ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে গাজা থেকে ইজরায়েলি সেনা আংশিকভাবে সরবে এবং হামাসের হাতে থাকা ইজরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। পাল্টা হিসেবে ইজরায়েল প্রায় ২,০০০ প্যালেস্টাইন বন্দিকে মুক্তি দেবে, যার মধ্যে রয়েছে বহু নারী ও শিশু।
এই শান্তি উদ্যোগের অংশ হিসেবে গাজায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, সেনা সরলেও হামাস পুরোপুরি নিরস্ত্র না হওয়া পর্যন্ত গাজার কিছু অংশে সেনা উপস্থিত থাকবে। তিনি গাজাবাসীদের সতর্ক করে বলেছেন, যেন কেউ সেনা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ না করেন।
এই যুদ্ধবিরতি একটি বৃহত্তর শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ, যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে বাস্তবায়িত হয়েছে। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে শুধু যুদ্ধ থামানো নয়, বরং বন্দি বিনিময়, ত্রাণ সরবরাহ এবং ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সমঝোতার পথও খুলে দেওয়া হয়েছে।
গাজা ও ইজরায়েলের সাধারণ মানুষ এই যুদ্ধবিরতিকে স্বস্তির নিঃশ্বাস হিসেবে দেখছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, এই শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন ও দীর্ঘস্থায়িত্ব নির্ভর করবে দুই পক্ষের আন্তরিকতা ও আন্তর্জাতিক তদারকির উপর।