কুতুব মিনারকে মন্দিরে রূপান্তর করা সম্ভব নয়, আদালতে জানাল এএসআই

ঘটনা আদালত অবধি গড়ায়, এই মকমলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে হলফনামা জমা দিল এএসআই। এএসআই আদালতে সাফ জানাল, কুতুব মিনারকে আর কোনভাবেই মন্দিরে রূপান্তর করা সম্ভব নয়।

May 24, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
কুতুব মিনার, ছবি সৌঃ PTI

দেশেজুড়ে একের পর এক ইসলামি স্থাপত্যকে মন্দিরে রূপান্তরিত করার ডাক দিচ্ছেন হিন্দুত্ববাদীরা। মামলা করা হচ্ছে আদালতে। জ্ঞানবাপী বিতর্কের মাঝেই নতুন করে শুরু হয় কুতুব মিনার বিতর্ক। কুতুবউদ্দিন আইবক নন, বিক্রমাদিত্যের আমলে সূর্যের গতিপথ পর্যালোচনা করার জন্য ইকুতুব মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল। এমনই দাবি করেছিলেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিকর্তা ধর্মবীর শর্মা। এরপরেই হিন্দুত্ববাদীরা মন্দির পুনরুদ্ধারের দাবিতে আসরে নেমে পড়েছেন। ঘটনা আদালত অবধি গড়ায়, এই মকমলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে হলফনামা জমা দিল এএসআই। এএসআই আদালতে সাফ জানাল, কুতুব মিনারকে আর কোনভাবেই মন্দিরে রূপান্তর করা সম্ভব নয়।

ধর্মবীরের দাবির পর থেকেই কুতুব মিনার নিয়ে যাবতীয় বিতর্ক সূত্রপাত। শোনা যায়, মিনার চত্বরে খননের নির্দেশ দিয়েছে মোদী সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক। এ নিয়ে তারা এএসআইয়ের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল। কুতুব মিনারের দক্ষিণে যেখানে মসজিদ রয়েছে, তা থেকে ১৫ মিটার দূরত্বে খনন করা হতে পারে। খনন চালিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রককে রিপোর্ট দেওয়ার কথা এএসআইয়ের।

মঙ্গলবার ২৪মে আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় এএসআই জানিয়েছে, ১৯১৪ সাল থেকে কুতুব মিনারের সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এখন আর কুতুব মিনারের গঠন কোনভাবেই বদলানো সম্ভব নয়। পুজো দেওয়ার যে দাবি তোলা হচ্ছে, তা অসম্ভব। হলফনামায় এএসআই বলে, তারা সংরক্ষিত জায়গাকে পরিবর্তন করতে পারে না। যে সময়ে কুতুব মিনারকে সংরক্ষণ করা হয়, সে সময় সেখানে কোনও পুজোপাঠ হত না। তাই এখন পুজোর অনুমতি এএসআই দিতে পারে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen