ফকির অবস্থা থেকে জমিদার! চাকদহের ভট্টাচার্যদের জগদ্ধাত্রী পুজোর অজানা কাহিনি
পুজো শুরু করার পর ধীরে ধীরে ভট্টাচার্যদের আর্থিক অবস্থার অভাবনীয় উন্নতি হতে থাকে। কালে কালে সে উন্নতি এমন হল যে, তাঁরা জমিদার হয়ে উঠলেন।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চাকদহের পালপাড়া রেলস্টেশন থেকে পশ্চিম দিকে মিনিট দু’য়েক হাঁটলেই ভট্টাচার্যদের বাড়ি। এই বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো ১৭০ বছরে পদার্পণ করল। এই পুজোর একটি ইতিহাস রয়েছে। জানা যায়, এক সময় এই এলাকায় সেরকম জনবসতি ছিল না। চারিদিকে ধু ধু মাঠ। কয়েকটি মাত্র বাড়ি।
সেখানেই একটি কুঁড়েতে বাস করতেন এক বৃদ্ধ। কৃপণ বলে তাঁর সামান্য দুর্নাম ছিল। একবার কয়েকজন প্রতিবেশী ঠিক করলেন, বৃদ্ধকে জব্দ করার জন্য বাড়িতে জগদ্ধাত্রীর মূর্তি রেখে আসবেন। যেমন ভাবনা তেমনভাবে কাজ হয়ে গেল। জগদ্ধাত্রী পুজোর আগে এক ভোরে উঠে বৃদ্ধ ভদ্রলোক দেখেন, তাঁর বাড়ির দালানে প্রতিমা রাখা। বাধ্য হয়ে পুজো শুরু করলেন চাকদহের পালপাড়া এলাকার ওই বৃদ্ধ। তাঁর নাম গণেশ ভট্টাচার্য। আশ্চর্য হলেও সত্যি, পুজো শুরু করার পর ধীরে ধীরে ভট্টাচার্যদের আর্থিক অবস্থার অভাবনীয় উন্নতি হতে থাকে। কালে কালে সে উন্নতি এমন হল যে, তাঁরা জমিদার হয়ে উঠলেন।
সেই সময় থেক আজ পর্যন্ত জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে ভট্টাচার্যদের বাড়িতে। এই পরিবারের পঞ্চম পুরুষরা বর্তমানে পুজোর আয়োজন করেন। নবমীর দিন সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর একসঙ্গে পুজো সম্পন্ন হয়। দশমীতে প্রতিমা বরণ ও বিসর্জন। বিসর্জনের পথে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় শোভাযাত্রা দাঁড়িয়ে পড়ে। গ্রামের মহিলারা প্রতিমা বরণ করেন। পুজো উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।