১০/১১ দিল্লি বিস্ফোরণ : জইশ জড়িত? দিল্লি বিস্ফোরণের আগে সুনহেরি মসজিদের পার্কিং লটে ৩ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিল ঘাতক গাড়ি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ০৯:৩০: দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম বহু। সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত এটিকে জঙ্গি হামলা ঘোষণা না করা হলেও তদন্তের দিক নির্দেশ করছে অন্য কথা। সূত্রের দাবি, সোমবার সন্ধ্যার ওই হামলার নেপথ্যে রয়েছে মাসুদ আজাহারের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ।
তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিস্ফোরণের আগে ঘাতক হুন্ডাই i20 গাড়িটি প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে ছিল দিল্লির সুনহেরি মসজিদের পার্কিং লটে। বিকেল চারটের দিকে গাড়িটি সেখানে ঢোকে এবং সন্ধ্যা সাতটার কিছু আগে বেরিয়ে যায়। শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা দেখেছেন, গাড়ি থেকে একজনই বেরিয়েছে এবং সেই ব্যক্তি গাড়ি চালিয়ে মেট্রো স্টেশনের সামনে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।
এক শীর্ষ তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, “গাড়িটি প্রথমে ছাত্তা রেল চক পর্যন্ত গিয়েছিল, তারপর লোয়ার সুভাষ মার্গে ইউ-টার্ন নেয়। সিগন্যালে এসে গতি কমাতেই বিস্ফোরণ ঘটে।”
তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা, গাড়ির পিছনের দিক থেকেই বিস্ফোরণটি ঘটেছে। এনএসজি এবং এফএসএল টিম ইতিমধ্যেই নমুনা সংগ্রহ করেছে। তাদের রিপোর্টেই নিশ্চিত হবে, কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে দেহ পুড়ে যাওয়ার ধরন ও বিস্ফোরণের তীব্রতা দেখে তদন্তকারীরা মনে করছেন, এটি আইইডি বা উচ্চক্ষমতার বোমা হতে পারে। জইশ-ই-মহম্মদ অতীতে একাধিকবার এ ধরনের গাড়ি বোমা ব্যবহার করেছে বলে জানা যায়।
ঘাতক গাড়ির সূত্র ধরে ইতিমধ্যেই দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ব্যবহৃত হুন্ডাই i20 গাড়িটি ২০১৩ সালের মডেল, গুরুগ্রামের বাসিন্দা সলমনের নামে নিবন্ধিত ছিল। প্রায় দেড় বছর আগে তিনি গাড়িটি দিল্লির ওখলার বাসিন্দা দেবেন্দ্রর কাছে বিক্রি করেন। দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে, পরে গাড়িটি আরও কারও হাতে গিয়েছিল কিনা।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, পরিকল্পনা করে এই হামলা চালানো হয়েছে এবং এতে সংগঠিত জঙ্গি নেটওয়ার্ক জড়িত থাকার সম্ভাবনাই বেশি। রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।