চাকরি দেবার নাম করে টাকা নিয়েছেন জয়প্রকাশ, অভিযোগ এই নেতার

তাঁর এইসব মন্তব্যগুলি অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

October 21, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

একুশের বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল কিন্তু নির্বাচনের পরে এখন ছবি পুরো উল্টো। ভোটের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরে রক্তক্ষরণ যেন অব্যাহত। একের পর এক বিধায়ক থেকে শুরু করে নেতা নেত্রীরা পদ্মফুল শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করছেন। শুধু বিধায়কই নন, আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও পর্যন্ত ‘ ফুলবদল ‘ করে ফেলেছেন।এবার দলবদল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে।

সম্প্রতি কলকাতার ভবানীপুর কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের সময় থেকেই তাঁকে বেসুরো বলে মনে হয়েছিল রাজনৈতিক মহলের।উপ নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের আগের দিনই তিনি বলেছিলেন, ‘ ভবানীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বিপুল ভোটে জয়ী হবেন’। এবার তিনি নিজের দলেরই নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারকে কটাক্ষের সুরে বিদ্ধ করে বললেন, ‘ উনি কংগ্রেস থেকে আসা ব্যক্তি। শুনেছিলাম কিছুদিন আগেই কাউকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ওনার বিরুদ্ধে। আপনাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হলে তো দলের ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়। সামনেই উপ নির্বাচন। মানুষের মনে এইধরনের ঘটনা অনেক গভীর প্রভাব ফেলে। আপনাদের মত লোক দলে থাকলে দল কোনওদিনই তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইয়ে পারবে না। রাজনৈতিক দুর্নীতি যেমন একটা মানুষকে ডোবায়, তেমনই একটা দলকেও ডুবিয়ে দেয়।’

এরপর দল পরিবর্তন নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘ আমি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম। তবে এখন আস্তে আস্তে সুস্থ হচ্ছি। পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পর ভাবব কোনদিকে যাব।’ অতএব দলবদলের জল্পনা একেবারেই তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন না জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই মন্তব্যকে অনেকটাই গুরুত্ব দিচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিজেপি নেতা রাহুল চক্রবর্তীও বিজেপি ছাড়ার কথা বলেন এবং পাশাপাশি জয়প্রকাশ মজুমদারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে লড়তে দেওয়ার শর্তে মোটা অঙ্কের টাকা চেয়েছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এই প্রসঙ্গে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ যা রটে, তার কিছু তো অবশ্যই ঘটে।’ তাঁর এইসব মন্তব্যগুলি অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen