নাগরাকাটায় মৃতদের পরিবারকে চাকরির নিয়োগপত্র, বন্যা নিয়ে ভুটানকে তোপ মমতার

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৫০: উত্তরবঙ্গের হড়পা বানের ক্ষতচিহ্ন এখনও স্পষ্ট। এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বহু এলাকায় রাস্তাঘাটের অবস্থা শোচনীয়। যান চলাচল প্রায় অচল। এই পরিস্থিতিতে দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে এলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
সোমবার দুপুরে আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা গেস্ট হাউস থেকে দুপুরে বেরিয়ে দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। রাস্তা খারাপ থাকায় গাড়ি ছেড়ে নেমে হেঁটে ঘুরে দেখেন ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল। সঙ্গে থাকা আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তা ও সেতু মেরামতির কাজ শুরু করতে হবে।
এরপর তিনি একটি ত্রাণশিবিরে গিয়ে দুর্গত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে দুর্যোগে মৃতদের পরিবারের হাতে নিজে তুলে দেন ৫ লক্ষ টাকার চেক ও হোমগার্ড পদে চাকরির নিয়োগপত্র। পাশাপাশি তিনি জানান, যাদের দুর্যোগে সরকারি নথি নষ্ট হয়েছে, রাজ্য সরকার তাদের ডুপ্লিকেট নথি তৈরি করে দেবে। ইতিমধ্যেই নথি তৈরির জন্য বিশেষ ক্যাম্প চালু করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দুর্যোগে যাদের বাড়ি ভেঙেছে, রাজ্য সরকার দ্রুত নতুন করে ঘর তৈরি করে দেবে। ” ত্রাণসামগ্রী বিলির সময় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন তিনি।
এদিন ফের ভুটানের ভূমিকা নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ” আমি বলেছিলাম ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন হোক। ভুটানের জলে আমাদের এখানে প্রাণহানি ঘটেছে। ওরাও ক্ষতিপূরণ দিক, আমরা সেটা চাই।”
এদিন মমতা আরও বলেন, ”অনেকদিন ধরে রিভার কমিশনের দাবি জানিয়ে আসছি। কেন্দ্র গুরুত্ব দেয়নি। ১৬ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে বৈঠক আছে। আমি আমাদের প্রতিনিধি পাঠাব।”
উল্লেখ্য, বিপর্যয়ের পরদিনই মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই ফের সেখানে ফিরবেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রবিবারই ফের পৌঁছে প্রশাসনিক বৈঠক করেন হাসিমারায়। সোমবার নাগরাকাটা গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন ও মৃতদের পরিবারের হাতে সাহায্য তুলে দেন।রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেসব পরিবার দুর্যোগে সবকিছু হারিয়েছে, তাদের পাশে ততদিন প্রশাসন থাকবে যতদিন না তারা ঘরে ফিরে আসেন।