শীতকালীন অধিবেশনেও ‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে রিপোর্ট পেশ করতে পারল না JPC
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:৪২: এবারের শীতকালীন অধিবেশনেও পেশ হল না ‘এক দেশ এক ভোট’ নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট। আরও বাড়িয়ে দেওয়া হল কমিটির মেয়াদ। আগামী বাজেট অধিবেশনের শেষ সপ্তাহের প্রথমদিনে সংশ্লিষ্ট কমিটি রিপোর্ট পেশ করবে।
‘এক দেশ, এক ভোট’ বিলটি এখন যৌথ সংসদীয় কমিটিতে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কমিটি দেশের প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ও বিশিষ্ট জনদের মতামত নিচ্ছে। কমিটির শীর্ষে আছেন বিজেপি সাংসদ পিপি চৌধুরী। তিনি সাফ জানিয়েছেন, ২০৩৪ সালের আগে ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতি কার্যকর হওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রেও সংশয় তৈরি হল। চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই কমিটির রিপোর্ট পেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হচ্ছে না।
রিপোর্ট পেশের জন্য আরও সময় চেয়ে নেওয়া হল। আগামী বাজেট অধিবেশনের শেষ সপ্তাহের প্রথমদিনে রিপোর্ট পেশ করার অনুমতি চেয়ে বৃহস্পতিবার কমিটির চেয়ারম্যান পিপি চৌধুরী আবেদন করেন। তাঁর আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। এই নিয়ে ৩ বার কমিটির মেয়াদ বাড়ল। ২০৩৪ সালের চূড়ান্ত সময়সীমার আগে এক দেশ, এক নির্বাচন কার্যকর করা যাবে কি-না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।
আগামী লোকসভা ভোট ২০২৯ সালে। উনিশ তম লোকসভার মেয়াদ থাকবে পরবর্তী ৫ বছর অর্থাৎ ২০৩৪ সাল পর্যন্ত। ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিলটি পাস হলেও ততদিন পর্যন্ত আইন কার্যকর হতে পারবে না। ২০৩৪ সালে একসঙ্গে লোকসভা-বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। পরবর্তীতে পুরসভা-পঞ্চায়েত নির্বাচনকেও এক সঙ্গে করার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১২৯তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে একসঙ্গে সমস্ত নির্বাচন করাতে তৎপর কেন্দ্র সরকার। সংশোধনীতেই আপত্তি বিরোধীদের। বিরোধীদের অভিযোগ, এই সংশোধনী যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী।