অভিনেতার থেকেও অনেক বেশি পারিশ্রমিক মন্দারের বিড়ালের?

সেলেব্রিটি বিড়াল বলে কথা! কখনও কখনও এমনও হয়েছে, কালার কখন মুড হবে, সে জন্য সবাইকে অপেক্ষা করতে হত।

November 26, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

গেইলপুর। নোনাসাগরের কোল ঘেঁষে জেলেদের এই মৎস্যনগরীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে ‘মন্দার’ ওয়েবসিরিজের পাঁচটি পর্ব। উইলিয়ম শেক্সপিয়রের ম্যাকবেথের গল্পকে অনির্বাণ ভট্টাচার্য এনে ফেলেছেন নিম্নবিত্ত উপকূলবর্তী মানুষদের জীবনকাব্যে।

এই গেইলপুরের ভাগ্য নির্ধারণ করে তিন ডাইনি। ঠিক যেমন ম্যাকবেথে ছিল! তবে বাংলার বুকে এই তিন ডাইনি হয়ে গেছে বুড়ি মজনু, তার ছেলে পেদো আর তাদের পোষা বিড়াল কালা। একটি বিড়ালকেও যে এমন ভূমিকায় দেখানো যায়, তা যেন অবিশ্বাস্য!

ডাইনি মজনু বুড়ির পোষ্য সেই কালা যেন গোটা সিরিজের এক অন্যতম অস্বস্তি। সে পর্দায় এলেই মন যেন কু ডাকে! কালো কুচকুচে গায়ের রং আর সর্বগ্রাসী দৃষ্টি দিয়ে একটি বিড়ালও যে এমন অভিনয় করতে পারে, তা কে জানত!

হ্যাঁ, অভিনয়ই। বেশিরভাগ সিনেমাতেই যখন পশু-পাখির দৃশ্যে গ্রাফিক ও অ্যানিমেশন দিয়ে কাজ চালানো হয়, প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হয়, সেখানে অনির্বাণের তুরুপের তাস জ্যান্ত এই বিড়াল। রীতিমতো ট্রেনিং দিয়ে, জায়গামতো খাবার রেখে প্রতিটি সিন করিয়ে নেওয়া হয়েছে তাকে দিয়ে। দরকারে সাত-আট বার টেক দিয়েছে কালা!

মন্দারের অন্যতম চরিত্র ডাইনি বুড়ি মজনু। সে চরিত্রের অভিনেতা সজল জানালেন, বিড়ালটিকে বম্বে থেকে আনা হয়েছিল কালার চরিত্রে অভিনয় করানোর জন্য। সে কোনও যেমন-তেমন বিড়াল নয়, আগেও অনেক অভিনয় করেছে সে। ভীষণ দামী বিড়াল!

সজলের কথায়, “আমরা যা পারিশ্রমিক পেয়েছি, বিড়ালটার পারিশ্রমিক তার চেয়ে অনেক বেশি। একজন ট্রেনার ছিল ওর। তিনিই খাবার দেখিয়ে নানা সময়ে নানা দৃশ্য করিয়ে নিয়েছেন কালাকে দিয়ে। ও খুবই কুল বিড়াল। কামড়ায় না।”

তবে হাজার হলেও তো সে বিড়াল, তাই শট দিতে বেশ দেরিই করেছে প্রায়। সেলেব্রিটি বিড়াল বলে কথা! কখনও কখনও এমনও হয়েছে, কালার কখন মুড হবে, সে জন্য সবাইকে অপেক্ষা করতে হত।

শেষ দৃশ্যেই যখন কালা মন্দারের গায়ের উপর দিয়ে উঠে আসছে, সেটাও করানো হয়েছে সাত-আটটা টেকে, জানালেন মজনু সজল।

বিড়াল কালাকে নিয়ে মায়ে-পোয়ে খুব খুনসুটিও চলত মা-ছেলে রূপী মজনু-পেদোর। এদিকে বাস্তবের পেদো সুদীপ আবার বিড়ালে খুব ভয় পান! সেই তাঁকেই দিব্যি মেলামেশা করতে হয়েছে কালার সঙ্গে! ভয় কাটিয়ে এই কাজ করতে পেরে তিনি অবশ্য বেশ খুশি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen