আজ থেকে বন্ধ কালীঘাট ও তারাপীঠ মন্দির

শুধুমাত্র মায়ের নিত্যপুজোর দায়িত্বে থাকা সেবাইতদের প্রবেশাধিকার থাকবে। কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ৩০মে পর লকডাউন বাড়লে মন্দির বন্ধের সময়সীমাও সেইমতো বাড়ানো হবে।

May 16, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

সরকারি নির্দেশিকা মেনে ফের বন্ধ হল কালীঘাট (Kalighat) ও তারাপীঠ মন্দির (Tarapith temple)। আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকছে কালীঘাট মন্দিরে। তবে নিত্যপুজো হবে। দুপুরবেলা ভোগ নিবেদনের সময় খোলা হবে মন্দির। যাঁর পালা থাকবে, তিনি প্রবেশ করবেন মন্দিরে। তারপরই বন্ধ হয়ে যাবে। পরে সন্ধারতি হবে। তবে দিনের কোনও সময় ভক্ত বা দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন মন্দির কমিটির কোষাধ্যক্ষ কল্যাণ হালদার। করোনা পরিস্থিতি দেখে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০ তারিখের পর মন্দির খোলার বিষয়ে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিটি। শনিবার সন্ধ্যাবেলায় মন্দির কমিটির কর্মকর্তারা বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেন।

অন্যদিকে, রবিবার থেকে আগামী ৩০মে পর্যন্ত মন্দিরে স্থানীয় সহ বহিরাগত পূণ্যার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হল। তবে মায়ের নিত্যসেবা ও পুজোপাঠ যথারীতি চলবে। শনিবার বিকেলে তারাপীঠ মন্দিরের সেবাইতরা এক বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন।

করোনা সংক্রমণ রোধে প্রশাসনের পরামর্শ মেনে গত বছর ২০মার্চ বন্ধ হয়েছিল তারাপীঠ মন্দির। যা তারাপীঠের ইতিহাসে প্রথম। দীর্ঘ লকডাউন পর্ব চলার পর ওই বছরের ৩০মে মন্দির খোলায় ছাড় দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় তিন মাস পর সবার জন্য মায়ের গর্ভগৃহ খুলে দেওয়া হয়। তারপরও সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য গতবার মায়ের রথযাত্রাও স্থগিত করা হয়। এমনকী, ফি-বছর কৌশিকী অমাবস্যায় পূণ্যার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।

তারাময়বাবু বলেন, রাজ্য সরকারের লকডাউনের (Lock Down) নির্দেশিকাকে মেনে রবিবার থেকে ৩০মে পর্যন্ত মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পূণ্যার্থীরা মন্দিরে ঢুকতে পারবেন না। শুধুমাত্র মায়ের নিত্যপুজোর দায়িত্বে থাকা সেবাইতদের প্রবেশাধিকার থাকবে। কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ৩০মে পর লকডাউন বাড়লে মন্দির বন্ধের সময়সীমাও সেইমতো বাড়ানো হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen