পুজোর আগেই চালু হয়ে যাবে কালীঘাট মন্দিরের স্কাইওয়াক

ইতিমধ্যে নতুন সাজে সেজে উঠেছে কালীঘাট মন্দির।

July 24, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ইতিমধ্যে নতুন সাজে সেজে উঠেছে কালীঘাট মন্দির। স্কাইওয়াকের কাজও প্রায় শেষের পথে। স্কাইওয়াকের মূল অংশের কাজ প্রায় শেষ। প্রবেশ এবং প্রস্থান পথের মাথায় চূড়া বা ডোম বসানোর কাজ চলছে। মোট পাঁচটি ডোম বসবে। পাশাপাশি চলছে চলমান সিঁড়ি ও লিফ্ট বসানোর কাজ। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৭ অগস্টের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে নির্মাণের কাজ। অর্থাৎ পুজোর আগেই স্কাইওয়াক দিয়ে সোজা মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে!

৪৫০ মিটার দীর্ঘ স্কাইওয়াকের মূল কাঠামো তৈরি প্রায় সম্পূর্ণ করে ফেলা হয়েছে। অর্ধ গোলাকার লোহার কাঠামো আধুনিক পলিকার্বনেট শিটে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই একটি প্রবেশ পথে চলমান সিঁড়ি বসানোর কাজ শেষ। এখন চলছে ডোম বানানোর কাজ। এক পুরকর্তা বলেন, এস পি মুখার্জি রোড, ফায়ার ব্রিগেড দিয়ে মহিম হালদার স্ট্রিট ধরে গুরুপদ হালদার পাড়া রোড, সদানন্দ রোড, কালী টেম্পল রোড সহ মোট পাঁচটি জায়গায় স্কাইওয়াকের ঢোকা ও বেরনোর গেটের মাথায় চূড়া বসানো হবে। সেই কাজ যথেষ্ট কঠিন। কারণ, পুরোটাই ওয়েল্ডিং বা ঝালাইয়ের কাজ। লোহা ও ফাইবার দিয়ে প্রথমে চূড়ার মূল কাঠামো বানানো হচ্ছে। তার উপর পলিকার্বনেট শিট দিয়ে ডিজাইন করা হবে। মন্দিরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই স্কাইওয়াকের এই চূড়াগুলি হবে। তাঁর আরও সংযোজন, দফায় দফায় বৃষ্টিতে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। মাঝে বিপত্তারিণী পুজোর জন্য চারদিন কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। কিন্তু, যাই হোক না কেন, এবার ডেডলাইন ‘মিস’ করা চলবে না। আগস্ট মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করে ফেলা হবে।

২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়েছিল কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ। তবে কালীঘাটের মতো ঘিঞ্জি এলাকায় মাটির নীচে থাকা ব্রিটিশ আমলের পাইপ লাইন, নিকাশির পাইপ অক্ষত রেখে সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করা অসম্ভব ছিল। রিলায়েন্সকেও কিছু কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে রিলায়েন্সই কালীঘাট মন্দিরের সমস্ত কাজ করছে এমনটা ঠিক নয়। কালীঘাট মন্দির সংস্কারের সিংহভাগ কাজ পশ্চিমবঙ্গ সরকার করছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen