গামারশ্মি প্রয়োগে আম সংরক্ষণে সাফল্য পেল কল্যাণী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

গবেষণাগারে সম্প্রতি গামা বিকিরণে সৃষ্ট এহেন বিরল গুণসম্পন্ন হিমসাগরের জন্ম হয়েছে। বাস্তবে এর প্রয়োগ হলে আমের ব্যবসায় আসতে পারে নবজাগরণ

April 14, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হিমসাগর আর পাঁচদিনেই শুকিয়ে আমসি হবে না। বরং ফলের ঝুড়িতে আমের রাজা হিমসাগর স্বমেজাজে বিরাজমান থাকবেন ছয়গুণ বেশি সময়। গবেষণাগারে সম্প্রতি গামা বিকিরণে সৃষ্ট এহেন বিরল গুণসম্পন্ন হিমসাগরের জন্ম হয়েছে। বাস্তবে এর প্রয়োগ হলে আমের ব্যবসায় আসতে পারে নবজাগরণ।

পূর্ব ভারতের অন্যতম কল্যাণীর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৪ সাল নাগাদ কৃষি গবেষণায় গামা বিকিরণের ব্যবহার করতে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার পরিকাঠামো গড়ে দেয়। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টির পোস্ট হারভেস্ট বিভাগের তরফে এই বিশেষ সেন্টারে গামা বিকিরণের মাধ্যমে ফসলের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা চলছিল। তাতেই ফলের রাজা আমের স্বায়ীত্বকাল বৃদ্ধিতে এই সাফল্য এসেছে। স্বাদে অমৃত হিমসাগর (জিআই ১১২) এবং লক্ষ্মণভোগ (জিআই ১১১) আম নিয়ে সেই গবেষণার শেষে দেখা গিয়েছে, এই দুই প্রজাতির আমের স্বায়ীত্বকাল গামার সফল প্রয়োগে ছয়গুণ বেড়ে যাচ্ছে।

পোস্ট হারভেস্ট ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক আইভী চক্রবর্তী বলেন, পরীক্ষাগারে আমরা হিমসাগর এবং লক্ষ্মণভোগ আমের উপর ০.৭৫ থেকে ১.০ কিলো গ্রে গামা রশ্মি প্রয়োগ করেছি। বিশেষ এই প্রয়োগের ফলে আমের আভ্যন্তরীণ চরিত্রের বদল হয়। এরপর সেই আম যদি ৮ থেকে ১০° তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয় তাহলে প্রায় ছয়গুণ বেড়ে যায় তার স্থায়িত্বকাল। যেমন হিমসাগরের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, এক একটি আম তাজা থাকে প্রায় ২৫ দিন পর্যন্ত। লক্ষ্মণভোগের ক্ষেত্রে স্থায়িত্বকাল আরও বেড়ে হয় ৪০ দিনের আশেপাশে। স্বাভাবিকভাবেই এই বিশেষ পদ্ধতিতে আম দীর্ঘজীবি হলে খুচরো ব্যবসায়ীদের ক্ষয়ক্ষতি কমবে এবং বিদেশে আম রপ্তানির ক্ষেত্রেও অনেক সময় পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, এর আগেও বিসিকেভি-তে গামা রশ্মির প্রয়োগে সাধারণ চাষের গাঁদাফুলে এক ধাক্কায় কয়েক গুণ বাড়িয়ে ফেলা হয়েছিল ‘লিউটিন’-এর মাত্রা। বর্তমানে ফসল ভেদে গামারশ্মির বিভিন্ন মাত্রায় প্রয়োগ চলছে অন্যান্য ফল অথবা সব্জির আয়ু বাড়ানোর লক্ষ্যে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen