কর্ণাটকের প্রাক্তন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে মামলা চালানোর অনুমতি হাইকোর্টের
বিজেপির ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অব্যাহত।

বিজেপির ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অব্যাহত। কর্ণাটক সরকারের বিরুদ্ধে সরকারি কাজ পাইয়ে দিয়ে ৪০ শতাংশ কাটমানির অভিযোগ উঠেছিল কদিন আগে। এবার কর্ণাটক হাইকোর্ট সাফ জানাল, বিজেপির পার্লামেন্টারি বোর্ডের সদস্য, কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে সাড়ে ২৯ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের তদন্তে আর কোনও বাধা নেই।
ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে অভিযোগ, রামলিঙ্গম কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামক এক নির্মাণ সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে এই আর্থিক লেন-দেন হয়েছিল। অভিযুক্তদের তালিকায় কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা, তার ছেলে বি ওআই বিজয়েন্দ্র, তার জামাই এবং নাতিরও নাম রয়েছে। ইয়েদুরাপ্পার মন্ত্রিসভার এক সদস্য, এক আই এ এস অফিসার, এক বিল্ডারসহ বেশ কয়েক জনের নাম রয়েছে মামলায়। জনপ্রতিনিধিদের বিচারের জন্য নির্দিষ্ট আদালতে কর্নাটক অ্যান্টি গ্রাফ্ট অ্যান্ড এনভায়র্নমেন্ট ফোরামেরের পক্ষ থেকে সমাজকর্মী জনৈক টি জে আব্রাহাম এই মামলাটি করেছিলেন। টি জে আব্রাহামের অভিযোগ, বেঙ্গালুরু ডেভলাপমেন্ট অথারিটির অধীনস্থ এক আবাসন নির্মাণের বরাত পেতে প্রথমে ১২ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। পরে বিভিন্ন শেল কোম্পানির মাধ্যমে ইয়েদুরাপ্পার আত্মীয়-স্বজন এবং কয়েক জন মন্ত্রী-আমলা নগদে ১৭.৫ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জানিয়েছিলেন, অভিযোগের তদন্তের প্রয়োজন, কিন্তু প্রধান অভিযুক্ত যেহেতু একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, তাই মামলা চালানোর জন্যে রাজ্যপালের অনুমোদন প্রয়োজন। এরপরই টি জে আব্রাহাম হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে, ৭ সেপ্টেম্বর বুধবার হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি এস সুনীল দত্ত যাদব তার রায়ে জানিয়ে দেন, ইয়েদুরাপ্পা এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা চালাতে কোনও আইনি বাধা নেই। বিচারপতি আরও জানান, জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে এফআইআর করার প্রয়োজন পড়লে পুলিশকে অনুমতি নিতে হবে। অন্য কোনও ক্ষেত্রে অনুমতির দরকার নেই।
উলেখ্য, কয়েক মাস আগে বেঙ্গালুরুর এক কনট্র্যাক্টর সন্তোষ পাটিল আত্মহত্যা করেন। সুইসাইড নোটে পঞ্চায়েতমন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পার নাম উল্লেখ করে সন্তোষ লেখেন, যেকোন ঠিকাদারির কাজ পেতে কর্ণাটকে ৪০ শতাংশ কাটমানি দিতে হয়। এই ঘটনার পর অনেক কনট্র্যাক্টর প্রকাশ্যে এসে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকারের বিরুদ্ধে এমন কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ আনেন। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে কর্ণাটক সরকার বা মোদী সরকার কোনরকম তদন্ত করেনি।