চন্দননগরের সরিষাপাড়া চৌমাথায় কার্তিকের সঙ্গেই পুজো পান ভাই গণেশ

১৯৪৮ সালে প্রকাশিত ‘হুগলি জেলার ইতিহাস’ বইতে চন্দননগরের একমাত্র কার্তিক পুজো হিসেবে সরিষাপাড়া চৌমাথার উল্লেখ রয়েছে।

November 19, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি সৌজন্যে: Ganesh and Kartik: A Mythical Race Around the World

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: চন্দননগরে পুজো হয় এক কার্তিকের। জগদ্ধাত্রী পুজোর শহরে সে পুজো নিয়ে কারও কোনও উৎসাহ নেই। উদ্যোগের অভাবে কার্যত বন্ধ হতে বসেছে সেই পুজো। পুজোর বয়স ২০০ বছরের কাছাকাছি। এ পুজো ব্যতিক্রমী। চন্দননগরের সরিষাপাড়া চৌমাথাতেই কার্তিক ও গণেশের একসঙ্গে পুজো হয়। সরিষাপাড়ায় কার্তিক-গণেশের পুজো কার্যত উলটপুরাণ।

পুজোর পরই বিসর্জন দিয়ে দেওয়া হয় হর-গৌরীর সন্তান দুই দেবতাকে। শনিবার পুজো ছিল। রবিবার রাতেই বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। সুধীরকুমার মিত্রের ‘হুগলি জেলার ইতিহাস’ বইয়ে সরিষাপাড়ার কার্তিক-গণেশ পুজোর কথা লেখা আছে। পুজোর উদ্যোক্তারা বলেন, পুজোর আয়োজনে লোক মেলে না। টাকাপয়সাও মেলে না।

১৯৪৮ সালে প্রকাশিত ‘হুগলি জেলার ইতিহাস’ বইতে চন্দননগরের একমাত্র কার্তিক পুজো হিসেবে সরিষাপাড়া চৌমাথার উল্লেখ রয়েছে। তখন পুজোর বয়স ছিল প্রায় ১২০ বছর। সেই সময় পর্যন্ত বাংলার কোথাও কার্তিক ও গণেশের একসঙ্গে পুজো হত না। সরিষাপাড়ার কার্তিকের শরীরের ঊর্ধাঙ্গে শুধু উত্তরীয় থাকে। ধুতি পরে থাকেন তিনি। গণেশের গায়ের রং লাল। দু’জনের পাশে থাকে একজন করে পরী। কার্তিকের সঙ্গে থাকেন এক উড়িয়া মালি। বিরল দর্শন এই মূর্তি ক্রমশ কালের গভীরেই রয়ে গিয়েছে আজও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen