Kasba Case: তিন অভিযুক্তের ৮ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত
পাশাপাশি অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৪ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২৩:২৩: কসবা ল’কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ডে আদালতের কড়া রায়। মূল অভিযুক্ত তিনজনের পুলিশি হেফাজত বাড়িয়ে ৮ জুলাই পর্যন্ত করার নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। পাশাপাশি অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৪ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষও।
মঙ্গলবার আদালতে অভিযুক্তদের পেশ করা হলে, সরকারি আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল জানান, নির্যাতিতার বয়ানের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ ও মেডিক্যাল রিপোর্ট। সেই ভিত্তিতে চার অভিযুক্তের দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। তবে বিচারপতি আংশিক হেফাজতের নির্দেশ দিয়ে মূল তিন অভিযুক্তকে ৮ জুলাই এবং রক্ষীকে ৪ জুলাই পর্যন্ত হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন, কসবার ল’ কলেজ চত্বরে এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে আসে কলেজের প্রাক্তনী ও আলিপুর আদালতের আইনজীবী মনোজিৎ মিশ্র, এবং কলেজের দুই বর্তমান ছাত্র—জইব ও প্রমিতের। অভিযোগ দায়েরের পরপরই পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে পরে কলেজের সিকিউরিটি গার্ড পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও গ্রেপ্তার করা হয়।
কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত প্রাক্তনী মনোজিৎ মিশ্রকে অস্থায়ী পদ থেকে বরখাস্ত করেছে। তদন্তে গঠিত হয়েছে ৯ সদস্যের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপকুমার ঘোষাল। সেদিন কলেজে উপস্থিত ছিলেন এমন ১৭ জন ছাত্রছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সময়সীমা অনুযায়ী প্রায় ৭.৫ ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে তৎপর পুলিশ ও কলেজ প্রশাসন। অপরাধ প্রমাণিত হলে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলেই মত রাজ্য প্রশাসনের।