নচিকেতার প্রতি আস্থা ছিল না কৌশিক গাঙ্গুলির
জনপ্রিয় গায়ক নচিকেতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখলেন একটি খোলা চিঠি, যেখানে ভরপুর আছে আবেগ, অনুশোচনা ও ভালোবাসা।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:১৮: ‘ধূমকেতু’ ছবির সাফল্যের আবহে শিল্পী-শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা আর আত্মসমালোচনার অনন্য উদাহরণ গড়লেন পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলি। জনপ্রিয় গায়ক নচিকেতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখলেন একটি খোলা চিঠি, যেখানে ভরপুর আছে আবেগ, অনুশোচনা ও ভালোবাসা।
চিঠিতে কৌশিক জানান, “স্মৃতি ফাটলে” গানটি প্রথম থেকেই ছবির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু নচিকেতার কণ্ঠে গানটি ঠিক মতো ফুটে উঠবে কিনা, তা নিয়ে তিনি দ্বিধায় ছিলেন। অনুপম রায়ের জেদেই শেষ পর্যন্ত গানটি রেকর্ড হয়। আর সেই মুহূর্ত থেকেই বদলে যায় কৌশিকের দৃষ্টিভঙ্গি।
তিনি লিখেছেন, “২২শে জুলাই তুমি গানটা রেকর্ড করলে। পরদিন যখন ডাবিং স্টুডিওতে বসে শুনলাম, তখন সব তালগোল পাকিয়ে গেলো আমার! একবার নয়, দু’বার শুনলাম টানা। শুধু মনে হলো, বাঘ শালা বাঘই থাকে! এমনি এমনি ও নচিকেতা হয়নি।”
কৌশিকের স্বীকারোক্তি, নিজের ভুল মানতে তাঁর কোনোদিন লজ্জা হয়নি। এই গান শোনার পরই তিনি অনুপমকে মেসেজ করে লেখেন, “ভাই, আমি ভুল বলেছিলাম। এবার তুই ইচ্ছে মতো বাজিয়ে নে অ্যারেঞ্জমেন্ট।”
চিঠিতে তিনি আরও জানান, সম্প্রতি মধ্যমগ্রামের একটি হলে গিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া সরাসরি দেখেছেন। “অন্ধকারে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম, তোমার গান বাজতেই দর্শকরা চোখ মুছছেন। আর আমি মুছছিলাম নিজের অহংকার। শিল্পীর নিষ্ঠা, মনন আর গভীরতা দেখে ভিজে যাচ্ছিলাম আবেগে।”
শেষে নচিকেতার উদ্দেশে কৌশিক লিখেছেন, “ধূমকেতুর বিজয়রথের পতাকায় তোমার নামটা পরিচালক আর বন্ধু হিসেবে নিজে হাতে লিখে রাখলাম। দেখা হলে জড়িয়ে ধরে আবারও স্যরি বলে নেবো।”
চিঠিটি প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়েছে ভক্তদের মধ্যে। অনেকেই বলছেন, ‘ধূমকেতু’র ক্লাইম্যাক্সে নচিকেতার কণ্ঠই ছবিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে, আর কৌশিকের এই খোলা চিঠি শিল্পীর প্রতি শিল্পীর এক গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন।