নজরুল ইসলাম যেসব ছায়াছবির সঙ্গীত পরিচালক

May 26, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

 নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিদ্রোহী কবি অভিধার আড়ালে চাপা পড়ে গিয়েছে তাঁর বহুমুখী প্রতিভার নানা দিক৷ তাঁর কবি সত্ত্বার আলোকে  অনালোচিত থেকে যায় ছায়াছবির পর্দায় কাজী নজরুল ইসলামের কাজ ৷ 

দেখে নেওয়া যাক সেইরকম কয়েকটি ছবির তালিকা:

পাতালপুরী

১৯৩৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পাতালপুরী’ সিনেমার সঙ্গীত পরিচালনা করেন নজরুল। তিনি এবং পরিচালক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় ছিলেন এ ছবির গীতিকার। 

‘পাতালপুরী’ সিনেমাটি কয়লাখনির শ্রমিক ও সেই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর জীবনসংগ্রাম নিয়ে নির্মিত হয়েছিল। এ ছবির জন্য ‘ঝুমুর’ সুরে গান রচনা করেন নজরুল। 

গৃহদাহ

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত ১৯৩৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গৃহদাহ’ সিনেমার সুরকার ছিলেন নজরুল। সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন রাইচাঁদ বড়াল।

গ্রহের ফের

১৯৩৭ সালে মুক্তি পায় রহস্য কাহিনীভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘গ্রহের ফের’। এই ছবির সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার ছিলেন নজরুল। 

বিদ্যাপতি

১৯৩৭ সালের সুপারহিট সিনেমা ছিল ‘বিদ্যাপতি’। কবি বিদ্যাপতির জীবনীভিত্তিক এ সিনেমার গল্প লেখেন নজরুল।  চিত্রনাট্য, সংলাপ ও পরিচালনায় ছিলেন দেবকী বসু। ছবিটির সুরকার ছিলেন নজরুল ও রাইচাঁদ বড়াল।

গোরা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৩৮ সালে নির্মিত হয় চলচ্চিত্র ‘গোরা’। ছবিটির সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন নজরুল। বিশ্বভারতী আপত্তি করে যে ছবিটিতে সঠিকভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়া হচ্ছে না। নজরুল তখন সোজা চলে যান কবিগুরুর কাছে। 

রবীন্দ্রনাথ নজরুলকে সমর্থন করেন এবং বিশ্বভারতীর প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, “আমার গান কীভাবে গাইতে হবে সেটা কি তোমার চেয়ে ওরা ভালো বুঝবে?”

হাল বাংলা

একই সময়ে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হাল বাংলা’ নামে আরেকটি সিনেমার গানেও সুর দিয়েছিলেন নজরুল। হাল বাংলা সিনেমায়  একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করেন তিনি। 

সাপুড়ে 

১৯৩৯ সালে মুক্তি পায় ‘সাপুড়ে’। এর কাহিনীকার ও সুরকার ছিলেন নজরুল। পরিচালক দেবকী বসু। বেদে সম্প্রদায়ের জীবনভিত্তিক এই সিনেমাটি ব্যবসায়িক সাফল্য পেয়েছিল।

https://www.youtube.com/watch?v=JNHaPPxnc8M
TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen