কেদারনাথে রোপওয়ে প্রকল্প: পুণ্যযাত্রা হবে আরও সহজ ও নিরাপদ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১৪:৫৫: উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ মন্দিরের তীব্র পাহাড়ি পথ বহু পুণ্যার্থীর জন্য কষ্টসাধ্য। বিশেষ করে প্রবীণ বা শারীরিকভাবে সীমিত সক্ষমতা সম্পন্ন যাত্রীরা এই যাত্রার চরম ধকল অনুভব করেন। কিন্তু এবার এই কঠিন যাত্রা অনেকটাই সহজ হয়ে উঠতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত ১২.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ আধুনিক রোপওয়ে তৈরি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার জানা গেছে, এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন দায়িত্ব পেয়েছে আদানি গোষ্ঠী। সংস্থার কর্ণধার গৌতম আদানি এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, আগামী ছয় বছরের মধ্যে এই রোপওয়ে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হবে। এতে কেদারনাথে পুণ্যযাত্রা আরও নিরাপদ, আর দ্রুততর হবে।
বর্তমানে সোনপ্রয়াগ থেকে গৌরীকুণ্ড পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার রাস্তা গাড়িতে যাওয়া যায়। তবে গৌরীকুণ্ড থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ ট্রেকিং করতে হয়, যা পায়ে হেঁটে বা ঘোড়ায় চেপে সাধারণত ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা সময় লাগে। নতুন রোপওয়ের মাধ্যমে এই দুরূহ পথটি মাত্র ৩৬ মিনিটে পার হওয়া সম্ভব হবে।
গৌতম আদানি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “কেদারনাথের কঠিন যাত্রা এবার সহজ হবে। পুণ্যার্থীদের তীর্থযাত্রা যাতে নিরাপদ ও আরামদায়ক হয়, সেই লক্ষ্যেই আমরা এই রোপওয়ে তৈরি করছি। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত। মহাদেব সকলের উপর কৃপা বর্ষণ করুন। জয় বাবা কেদারনাথ!”
এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কেমন হবে কেদারনাথের অত্যাধুনিক রোপওয়ে পরিষেবা। ভিডিওতে পরিষ্কার বোঝানো হয়েছে যাত্রীদের জন্য এটি কতটা সুবিধাজনক হবে। বিশেষ করে প্রবীণ, শিশু বা শারীরিকভাবে সীমিত সক্ষমতার যাত্রীদের জন্য এই প্রকল্প এক বিপ্লবের মতো।
কেদারনাথ ও অমরনাথকে ভারতীয় হিন্দু তীর্থযাত্রার মধ্যে অন্যতম কঠিন যাত্রাপথ হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে এই আধুনিক রোপওয়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে পুণ্যার্থীরা অনেক সহজভাবে ও নিরাপদে মন্দিরে পৌঁছাতে পারবেন। এর ফলে তীর্থযাত্রার অভিজ্ঞতা আরও আরামদায়ক ও সময় সাশ্রয়ী হবে।
এই রূপান্তরমূলক প্রকল্প শুধু কেদারনাথ নয়, সমগ্র হিমালয় অঞ্চলের পর্যটন ও তীর্থযাত্রার অভিজ্ঞতাকেও নতুন মাত্রা যোগ করবে। শিগগিরই পাহাড়ি পথে দীর্ঘ ঘন্টার ক্লান্তি ছাড়াই বহু পুণ্যার্থী বাবা কেদারনাথের দর্শন নিতে সক্ষম হবেন।