টালিগঞ্জ-সহ কলকাতার সংযুক্ত এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের লক্ষ্যে ৮১৯ কোটি টাকা খরচ করছে কেএমসি
শহরে পানীয় জলের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ধাপা এবং গড়িয়া ঢালাই ব্রিজে নতুন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি হচ্ছে। এই কাজ সম্পূর্ণ হলে যাদবপুর এবং টালিগঞ্জ অঞ্চলের বাসিন্দাদের পানীয় জলের জন্য আর কোনওভাবেই গভীর নলকূপের উপর নির্ভর করতে হবে না।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শহরে পানীয় জলের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ধাপা এবং গড়িয়া ঢালাই ব্রিজে নতুন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি হচ্ছে। এই কাজ সম্পূর্ণ হলে যাদবপুর এবং টালিগঞ্জ অঞ্চলের বাসিন্দাদের পানীয় জলের জন্য আর কোনওভাবেই গভীর নলকূপের উপর নির্ভর করতে হবে না। সর্বত্র পৌঁছে যাবে পর্যাপ্ত পরিস্রুত পানীয় জল। শুক্রবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে এই তথ্য দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজেই।
শুধু তাই নয়, টালিগঞ্জ-সহ কলকাতার সংযুক্ত এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের লক্ষ্যে ৮১৯ কোটি টাকার প্রকল্প রূপায়ণ করছে কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যে সেই টাকা থেকে খরচ করে বিভিন্ন প্রকল্প চালু হয়েছে।
মেয়র জানান, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ১৫টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এগুলি তৈরিতে খরচ হয়েছে ৯১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। বর্তমানে যাদবপুর এবং টালিগঞ্জ বিধানসভার বিভিন্ন অংশে আরও ২৫টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরির কাজ চলছে। এর জন্য খরচ হচ্ছে ১৩৩ কোটি টাকা। আগামী দিনে আরও সাতটি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন বানানো হবে। তবে জমির সমস্যা যে রয়েছে, তা মানছেন মেয়র। ফিরহাদ আরও বলেন, ‘মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যাদবপুর এবং টালিগঞ্জ অঞ্চলের পানীয় জলের সমস্যা পুরোপুরি মেটাতে হবে। এই অঞ্চলগুলিতে রোজ ২৪.২৬ মিলিয়ন গ্যালন জল দরকার হয়, যার পুরোটাই আসে গভীর নলকূপ থেকে। তাই ধাপা এবং ঢালাই ব্রিজের নতুন জল উৎপাদন প্রকল্প করা হচ্ছে। ধাপায় ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ মিলিয়ন গ্যালন জল উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় পাইপলাইন বসাতে ২৫০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। গড়িয়া ঢালাই ব্রিজের নয়া জল উৎপাদন প্রকল্প তৈরিতে খরচ হচ্ছে ৮৭ কোটি টাকা।