একটিই মাত্র মন্দিরে জগন্নাথ ঠুঁটো নন! বাংলার কোথায় মিলবে তাঁর দেখা?
১৭৩০ সালে বর্ধমানের রাজমাতা ব্রজকিশোরীদেবী শ্রীক্ষেত্রের রথযাত্রায় গিয়েছিলেন। ফিরে এসে কালনায় জগন্নাথদেবের মন্দির তৈরি করেন তিনি।
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কৌতূহল দমাতে পারেননি রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন। দরজা খুলে ফেলেছিলেন। মূর্তি অসম্পূর্ণ রেখে উধাও হয়ে যান বিশ্বকর্মা। আর কী! ঠুঁটো হয়েই থাকলেন জগন্নাথ। কিন্তু বাংলা তো, ব্যতিক্রম এ প্রদেশের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গি। কালনার জগন্নাথতলায় সারা বছর অসম্পূর্ণ বিগ্রহ পূজিত হলেও বছরে তিনদিন তার ব্যতিক্রম হয়। রথযাত্রা, স্নানযাত্রা ও উলটো রথযাত্রা, তিন দিন তিন দেব-দেবীর মূর্তিতে হাত লাগিয়ে পুজো করা হয়।
১৭৩০ সালে বর্ধমানের রাজমাতা ব্রজকিশোরীদেবী শ্রীক্ষেত্রের রথযাত্রায় গিয়েছিলেন। ফিরে এসে কালনায় জগন্নাথদেবের মন্দির তৈরি করেন তিনি। মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ হয় ১৭৩৩ সালে। স্নানযাত্রা, রথযাত্রা, উলটোরথ মন্দিরের তিন প্রধান উৎসব। সারাবছর হাতছাড়াই পুজো হলেও এই তিন উৎসবে মূর্তিতে দু’টি করে পিতলের হাত লাগানো হয়। হাত লাগানো এমন মূর্তি কালনা ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না।