কলকাতার মস্ত বড় মাটির ঢিবিই হয়ে উঠেছিল ওয়াজিদ আলির ছোটা লখনৌ?
কেল্লা ছিল মাটি দিয়ে তৈরি। সে সময় নির্মাণের প্রধান উপকরণ ছিল মাটি।
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গোমতীর তীর ছেড়ে কলকাতায় চলে আসতে হয়েছিল ওয়াজিদ আলি শাহকে। তারপর ফোর্ট উইলিয়ামের দু’বছরের বন্দি জীবন কাটিয়ে ওয়াজিদ আলি গড়ে তুললেন ‘ছোটা লখনৌ’। ব্রিটিশের দেওয়া পেনশনের টাকায় গড়ে তুললেন একের পর এক প্রাসাদ। নিজস্ব চিড়িয়াখানা তৈরি করলেন। বিরিয়ানিতে আলুর অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে কলকাতা ঘরানার বিরিয়ানির জন্ম দিলেন। ঠুমরি, কত্থক নিয়ে একত্রিশ বছর কাটিয়ে দিলেন নিজের গড়া সাম্রাজ্যে। ব্রিটিশের দেওয়া মাসিক লক্ষ টাকা পেনশন আর ছ’হাজার প্রজা নিয়ে তিনিই কলকাতার লখনৌর বেতাজ বাদশা। আর তাঁর সাম্রাজ্য ছিল মেটিয়াবুরুজ।
মেটিয়াবুরুজের ইতিহাস কলকাতা চেয়েও প্রাচীন। ভাগীরথী নদীর দুই তীরে দুটি কেল্লা, একটি রাজা প্রতাপাদিত্য বানিয়েছিলেন, অন্যটি ডাচরা তৈরি করেছিল। লর্ড ক্লাইভ ওই অঞ্চল দখলের সময় কেল্লা দুটিরও দখল নেন।

কেল্লা ছিল মাটি দিয়ে তৈরি। সে সময় নির্মাণের প্রধান উপকরণ ছিল মাটি। কলকাতার পত্তনের সময় কেল্লা দুটি ধ্বংস হয়ে যায়, বিশাল মাটির ঢিবি বা বুরুজ পড়ে ছিল দীর্ঘদিন। সেই থেকে অঞ্চলটির নাম হয় মেটিয়াবুরুজ। মুচিখোলা, সাহেববাগান, আকড়া—এই তিনটি অঞ্চল নিয়েই ছিল মেটিয়াবুরুজ।
ভাষ্য পাঠ: মধুরিমা রায়
সম্পাদনা: মোঃ রবিউল ইসলাম
তথ্য গবেষণা: সৌভিক রাজ