কলকাতার বিরিয়ানি আজও সবার সেরা

২০১৯ সালে বিভিন্ন খাবার ডেলিভারি অ্যাপ্লিকেশনে কলকাতাবাসীরা মোট ৩৯ লক্ষ মটন বিরিয়ানি ও ২৫ লক্ষ চিকেন বিরিয়ানি অর্ডার দিয়েছেন।

January 26, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

২০১৯ সালে বিভিন্ন খাবার ডেলিভারি অ্যাপ্লিকেশনে কলকাতাবাসীরা মোট ৩৯ লক্ষ মটন বিরিয়ানি ও ২৫ লক্ষ চিকেন বিরিয়ানি অর্ডার দিয়েছেন। এই পরিসংখ্যানই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, বাঙালির কাছে বিরিয়ানি চিরকালীন এক খাবার। 

সুগন্ধী চাল, মাংস এবং বাছাই করা মসলা দ্বারা তৈরী হয় এই পদ। কলকাতার বিরিয়ানি এক শতকের বেশী সময় ধরে জনপ্রিয়। হায়দ্রাবাদী ও অবধি বিরিয়ানির সঙ্গে তফাৎ করে দেয় আলু। এই আলুই এক অন্য মাত্রা যোগ করে কলকাতার বিরিয়ানিতে।

কলকাতার বিরিয়ানি আজও সবার সেরা| ছবি সৌজন্যে: dukanlay

অন্যান্য খাবারের তুলনায় বিরিয়ানিকে পকেটবান্ধব মনে করে ছাত্রকুল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মতে, আমাদের পক্ষে সম্ভব না রোজ রোজ দামী হোটেল থেকে খাওয়া। আমরা বেশীর ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি ছোট ছোট বিরিয়ানির দোকান থেকে খেয়ে থাকি। মান খুব অসাধারণ না হলেও এই দামে মন ও পেট ভরিয়ে দেয়।

শরৎ বোস রোডের এক রেস্তোরাঁর মালিক বলেন, আমরা মোঘলাই খাবার পরিবেশন করে থাকি। প্রতিদিন গড়ে ৪০০ প্লেট মটন বিরিয়ানি ও ২৫০ প্লেট চিকেন বিরিয়ানি বিক্রী করে থাকি।

নবাব ওয়াজেদ আলি শা যখন কলকাতার মেটয়ারুজে ছিলেন, বিরিয়ানিতে আলুর প্রচলন শুরু করেন। যেহেতু তাঁর তখন অর্থের সঙ্কট ছিল, তিনি মাংসের বদলে কন্দ ব্যবহার শুরু করেন। তাঁর প্রপৌত্রী বলেন, অবধি বিরিয়ানি ও কলকাতার বিরিয়ানির একমাত্র তফাৎ – আলু।

বিরিয়ানি এখন ফাস্ট ফুডের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এটি যে কোনও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রথম বার ব্যবহারকারীদের প্রথম পছন্দ। চটজলদি তৈরি এবং পেটপুরে খাওয়া – বিরিয়ানির যে তুলনা নেই, এক বাক্যে মানতে বাধ্য সবাই।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen