সাত মাসের শিশুকন্যা ধর্ষণ-কাণ্ডে দোষীর ফাঁসির সাজা, নজির গড়ল কলকাতা পুলিশ

ফুটপাথে মা-বাবার সঙ্গে ঘুমন্ত সাত মাসের শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়।

February 19, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ফুটপাথে মা-বাবার সঙ্গে ঘুমন্ত সাত মাসের শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এই নারকীয় ঘটনায় রাজীব ঘোষ নামে এক যুবককে দোষী সাব্যস্ত করেছিল নগর ও দায়রা আদালত। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৩৭(২), ৬৫(২) এবং শিশু সুরক্ষা আইনের (পকসো) ৬ নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাকে। মঙ্গলবার দোষীকে ফাঁসির সাজা শোনায় আদালত। বড়তলা থানায় অভিযোগ দায়ের ২৬ দিনের মধ্যে কোর্টে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। ঘটনার তদন্তভার ছিল সাব-ইন্সপেক্টর মানসী মাইতি রায়ের হাতে। মানসীর নেতৃত্বে পুলিশের ধর্ষণ-কাণ্ডের সুরাহা করে। উল্লেখ্য, এর আগেও মানসী এমনই ছটি পকসো মামলার তদন্ত শেষ করেছেন।

সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, কলকাতা পুলিশ ইতিহাস গড়ল। বাংলার বিচার বিচার ব্যবস্থা ইতিহাসের অংশ হল। বিপক্ষের আইনজীবী বলেছেন, “এখানে মেয়েটি বেঁচে আছেন, তবে কি আমরা ফাঁসি চাইতে পারি?” সরকারি পক্ষের আইনজীবী বলেন, “আদালতের আইনে কোথাও বলা নেই ফাঁসির সাজা পেতে শোনাতে গেলে নির্যাতিতার মৃত্যু হতে হবে। আমি বারবার আদালতে বলেছি, মেয়েটি যদি সুস্থ হয়ে বাড়িও ফেরে, ওকে সারাজীবন এই ঘটনা মানসিক যন্ত্রণা দেবে।” আদলত বলে, এই ঘটনা বিরল থেকে বিরলতম।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর বড়তলা থানা এলাকার এক শিশুকন্যা নিখোঁজ হয়ে যায়। বাবা-মায়ের অভিযোগ ছিল, রাতে রাস্তার পাশে ঝুপড়িতে তাঁরা ঘুমোচ্ছিলেন। ঘুমন্ত শিশুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ফুটপাত থেকেই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। বড়তলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। গত ৪ ডিসেম্বর ঝাড়গ্রাম থেকে অভিযুক্ত রাজীব ঘোষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২৬ দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দোষীকে চিহ্নিত করা হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen