‘বন্ধু কলকাতা’, পুজোর শহরে হারানো প্রিয়জনদের খুঁজে দিতে উদ্যোগ কলকাতা পুলিশের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৪০: পুজোর ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া শিশু আর প্রবীণদের খুঁজতে সারা শহরজুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘বন্ধু কলকাতা’। লালবাজারের (Lalbazar) গোয়েন্দা বিভাগের মিসিং পারসনস স্কোয়াডের (Missing Person Squad) উদ্যোগে সারা শহরে টহল দিচ্ছে ‘বন্ধু কলকাতা’র গাড়ি। আগে বিকেল থেকে এই গাড়ি ঘুরে বেড়াত। এখন সকালেও দর্শনার্থীদের ভিড় জমছে। সকাল আটটা থেকে প্রায় ভোররাত পর্যন্ত শহরে ঘুরছে এই গাড়ি।
কলকাতা পুলিশের আওতায় নয় ডিভিশন তো আছেই, পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের নতুন ভাঙড় ডিভিশনে গোটা এলাকাজুড়ে পুজোয় হারিয়ে যাওয়া শিশু আর প্রবীণদের খুঁজতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘বন্ধু কলকাতা’র গাড়ি।
প্রত্যেকটি গাড়িতে চালক সহ থাকছেন একজন অফিসার, একজন কনস্টেবল, একজন সিভিক ভলান্টিয়ার ও একটি স্বেচ্ছাসেবক সংস্থার একজন সদস্য অথবা সদস্যা। গাড়িতে থাকছে পর্যাপ্ত পরিমাণ চকোলেট, চিপস। মা-বাবাকে হারিয়ে ফেলা কোনও শিশু বা বালক-বালিকার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে চকোলেট, চিপস বা লোভনীয় খেলনা। এরপর নিখোঁজ শিশুর কাছ থেকে অভিভাবক বা নিকট আত্মীয়ের ফোন নম্বর জানার চেষ্টা চলছে। যদি ফোন নম্বর না-জানা যায়, তবে যে মণ্ডপ বা যে থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে, সেই পুজো উদ্যোক্তাদের এবং সংশ্লিষ্ট থানাকে নিখোঁজের ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়, যাতে অভিভাবকরা পুজো উদ্যোক্তা বা পুলিশের কাছে গেলে শিশুটির খোঁজ পেয়ে যান।
প্রতিটি থানায় চাইল্ড ফ্রেন্ডলি ঘর রয়েছে। এছাড়াও ‘বন্ধু কলকাতা’কে সাহায্য করার জন্য কলকাতার ১০ টি প্রান্তে তৈরি হয়েছে বিশেষ দশটি পুলিশ কিয়স্ক। বিকে পাল ক্রসিং, গিরিশ পার্ক, দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী, গড়িয়াহাট, গড়িয়া মোড়, বেহালা চৌরাস্তা, খিদিরপুর, উল্টোডাঙা ও ভাঙড়ে এই দশটি কিয়স্ক রয়েছে। নিখোঁজদের এই কিয়স্কে এনে হাজির করা হচ্ছে। আবার অভিভাবক বা নিকটাত্মীয়রাও কিয়স্কে গিয়ে খোঁজখবর করলে, তাঁদের প্রিয়জনকে সেখানে ‘বন্ধু কলকাতা’-র গাড়িতে করে নিয়ে আসা হচ্ছে। এছাড়াও এন্টালির পটারি রোডে চাইল্ড লাইনে থাকছে গাড়ি।
কোনও দর্শনার্থী ঠাকুর দেখতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে পুলিশ। শহরের নানা প্রান্তের ১৪টি জায়গায় পুলিশের নিজস্ব অ্যাম্বুল্যান্স থাকছে। থাকছে আরও ১৪টি ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স।