কলকাতা থেকে জাহাজে সাড়ে তিন ঘণ্টায় গঙ্গাসাগর

কথায় বলে ‘সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার’। তবে এক সময়কার দুর্গম এই যাত্রাপথ এখন পুণ্যার্থীদের কাছে অনেক মসৃণ।

January 15, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার। ছবি সৌজন্যেঃ lonelyplanet

কথায় বলে ‘সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার’। তবে এক সময়কার দুর্গম এই যাত্রাপথ এখন পুণ্যার্থীদের কাছে অনেক মসৃণ। কারণ কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগর মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায়! এটাই ঘটতে চলেছে বাস্তবে।

বিলাসবহুল জাহাজে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা কলকাতা থেকে পৌঁছে যাবেন গঙ্গাসাগরে। রোজ সকাল সাতটায় মিলেনিয়াম ঘাট থেকে জাহাজ ছাড়বে। সাগরের কচুবেড়িয়া ঘাটে পৌঁছে যাবে সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে। সুন্দরবনগামী পর্যটকদের পৌঁছে দেওয়া হবে নামখানায়। ফিরতি পথে কচুবেড়িয়া থেকে ছাড়বে বিকেল তিনটে থেকে চারটের মধ্যে। সন্ধে ৭-৮টার মধ্যে পৌঁছবে কলকাতায়। মাথাপিছু খরচ মাত্র এক হাজার টাকা।

কলকাতারই এক বাঙালি মেরিন ক্যাপ্টেন মুম্বইয়ের একটি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই জাহাজ ফেরি সার্ভিস চালু করছেন। রাজ্য পরিবহণ দপ্তর থেকে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। মালয়েশিয়া থেকে এই বিলাসবহুল জাহাজটি আনা হয়েছে। জাহাজে আছে ১৫৬টি আসন। পুরোটাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। 

জাহাজে ৬০০ কিলোওয়াটের দু’টি ইঞ্জিন ছাড়াও দু’টি জেনারেটর আছে। আছে শৌচাগার। যাত্রীদের মনোরঞ্জনের জন্য টিভি ছাড়াও আছে দুটো বড় স্ক্রিন। তাতে সিনেমা দেখানো হবে। জাহাজের গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার। যাত্রীদের শুকনো খাবার এবং মিনারেল ওয়াটার দেওয়া হবে। জাহাজের মাত্র ১.২ মিটার জলের তলায় থাকবে।

এখন গঙ্গাসাগর যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে অথবা সড়কপথে প্রথমে কাকদ্বীপের লট এইটের ঘাটে পৌঁছতে হয়। সেখান থেকে ভেসেলে অথবা লঞ্চে মুড়িগঙ্গা পেরিয়ে যেতে হয় সাগরের কচুবেড়িয়ায়। সেখান থেকে আরও কিছুটা পথ পেরিয়ে গঙ্গাসাগর কপিল মুনির আশ্রম। গড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। নদীতে ভাটা থাকলে সেটা কখনও ৮-১০ ঘণ্টা হয়ে যায়। কিন্তু মিলেনিয়াম পার্ক থেকে জাহাজ ছেড়ে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় সাগরে পৌঁছে যাবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen