করোনা টিকার ডবল ডোজ প্রদানে দেশের শীর্ষে কলকাতা
এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কলকাতায় প্রথম ডোজের টিকাকরণ হয়েছে ৪৩ লক্ষ। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১৮ লক্ষ।

১৮ ঊর্ধ্বদের করোনার ডবল ডোজের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। জেলাওয়াড়ি টিকাকরণের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের এই জেলার ৭৬.১ শতাংশ বাসিন্দাই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পেয়েছেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে আসা তথ্যে জানা গিয়েছে। রাজ্যের মধ্যে একমাত্র শহর হল কলকাতা, যেখানে বুধবার সন্ধ্যাতেই প্রথম ডোজের টিকাকরণ ১৩৩ শতাংশে গিয়ে পৌঁছায়! এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কলকাতায় প্রথম ডোজের টিকাকরণ হয়েছে ৪৩ লক্ষ। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১৮ লক্ষ।
কেবল জেলা হিসেবে কলকাতা শীর্ষেই নয়, কোভিডের টিকাকরণের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যেও প্রথম সারিতে রয়েছে বাংলা। ডবল ডোজের ক্ষেত্রে চতুর্থ স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে ভোট। এই পরিস্থিতিতে ডবল ডোজের কোভিড সুরক্ষার ক্ষেত্রে ভোটারদের সিংহভাগ ভ্যাকসিন পেয়ে যাওয়ায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর যথেষ্ট স্বস্তিতে। কলকাতার পরেই জেলাওয়াড়ি টিকাকরণে এগিয়ে বয়েছে দিউ। সেখানে ৭২ শতাংশ নাগরিকের কোভিভ ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ সম্পূর্ণ হয়েছে। তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে লাদাখের লে (৭১.১ শতাংশ), হরিয়ানার গুরুগ্রাম (৬৪.৩) এবং অরুণাচল প্রদেশের পাপুম জেলা (৫৯ শতাংশ)।
রাজ্যগুলির উদ্যোগে টিকাকরণের এই হার দেখে এবার গ্রামাঞ্চলের জেলাগুলিতে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। কোনও দ্বিধা না
রেখে মহিলাদের আরও বেশি করে টিকা গ্রহণে উৎসাহী করতে রাজ্যকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। বিশেষত, গর্ভবতী মহিলাদের। কোভিড সংক্রান্ত কেন্দ্রের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির চেয়ারম্যান তথা নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্য) সদস্য ডা. বিনোদকুমার পল বলেছেন, গ্রামাঞ্চলে টিকায় জোর দিতে হবে।
জেলাওয়াড়ি ডবল ডোজের টিকার ক্ষেত্রে কলকাতা যেমন সবার শীর্ষে, তেমনি সবার নীচে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের কানপুর গ্রামীণ। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের এই জেলার মাত্র ২.৯৭ শতাংশ ১৮ ঊর্ধ্ব নাগরিক দুটি ডোজ পেয়েছেন। তারপরই বাদাউন (৪.৩৫%), কনৌজ (৪.৫৭%)। আর এক ডবল ইঞ্জিন সরকারের শাসনে চলা রাজ্য মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূট (৪.৭৫%)। অথচ ঘটনাচক্রে প্রথম ডোজের টিকার ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ দেশের শীর্ষে। মধ্যপ্রদেশ রয়েছে তৃতীয়স্থানে। গোড়ার দিকে এই রাজ্যগুলি টিকাকরণে তেমন জোর দেয়নি বলেই অভিযোগ। পরে অবশ্য গতি এসেছে। তাই সিঙ্গল ডোজ পাওয়ার ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে এগিয়ে থাকলেও দুটি ডোজের টিকাকরণে পিছিয়ে রয়েছে বলেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মত।